নৌকার পালে হাওয়া লাগাতে ব্যস্ত হাবিব, ট্রাক নিয়ে ছুটছেন দুলাল

সিলেট

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ও ট্রাকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। এ আসনে ছয় প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে নৌকার হাবিবুর রহমান হাবিব ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল ভোটের মাঠে বেশ সরগরম।

হাবিব ও ডা. দুলাল দুজনই নিজেদের প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তারা ভোটারদের কাছে ভোট চাইছেন। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠক করে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ৭ জানুয়ারি ভোটে জয় নিয়ে নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা বেশ আশাবাদী। ফেঞ্চুগঞ্জের হাটবাজার, পাড়া-মহল্লা, রাস্তায় পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। গ্রাম থেকে হাট-বাজারের চায়ের স্টলে নির্বাচনি আমেজ বিরাজ করছে। ভোটাররা করছেন চুলচেরা বিশ্লেষণ।

ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনি আমেজ আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যেই বেশ জমে উঠেছে। হাবিব ও দুলাল দুজনেই আওয়ামী লীগের। একজন দলীয় প্রতীক নিয়ে ও অন্যজন স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। নির্বাচন এলে সব প্রার্থী এলাকার উন্নয়ন করবে বলে নানা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পর এলাকায় তাদের দেখা পাওয়া দায়। যারা তৃণমূল মানুষের দুঃখ-বেদনা বুঝবেন এমন একজন সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে আমরা বিজয়ী হিসাবে চাই।

শনিবার ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া ইউনিয়নের মোকামের তল, জিরো পয়েন্ট, ঘাটের বাজার, বিয়ালী বাজার, পরগনা বাজারে গণসংযোগ করে নৌকায় ভোট চান হাবিব। আর বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নে ও আয়না মার্কেট এলাকায় ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন ডা. দুলাল।

এছাড়া নৌকা ছেড়ে অনেক দলীয় নেতাকর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাকে উঠতে চান বলে মন্তব্য করেছেন ডা. দুলাল।

পথসভায় বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। আপনারা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেবেন। ট্রাক প্রতীককে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করার অনুরোধ জানাচ্ছি। দলীয় অনেক নেতাকর্মী দিনের বেলা নৌকার মিছিল দিয়ে, রাতে আমাকে মুঠোফোনে বলেন, আমরা আপনার সঙ্গে আছি, ট্রাক প্রতীকে আছি। কিন্তু, আমি কারও কথায় বিশ্বাস করি না, আমার পাশে আপনারা যারা এখন আছেন; আপনারাই আমার ট্রাকের প্রধান যাত্রী। জনগণই আমার শক্তি। জনগণ ভোটের ময়দানে ফয়সালা করবেন কে হবেন তাদের জনপ্রতিনিধি। আপনারা কারও হুমকি-ধমকিতে ভয় পাবেন না।’

এদিকে যারা উন্নয়ন দেখেন না, তারা অন্ধ বলে মন্তব্য করেছেন হাবিব।

তিনি এক পথসভায় বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নে বদলে গেছে গ্রামগঞ্জের চিত্র। যারা সরকারের উন্নয়নকে অস্বীকার করে, তারা কখনো আওয়ামী লীগের কিছু হতে পারে না। শেখ হাসিনার উন্নয়নকে যারা অস্বীকার করে, যারা উন্নয়ন চোখে দেখেন না; তারা অন্ধ। জনগণ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় আমাকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত করবেন।’

হাবিব ও দুলালসহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মোমবাতি), ইসলামী ঐক্য জোটের প্রার্থী মো. মইনুল ইসলাম (মিনার) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ (আম)।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *