সৌদি আরবের আকাশে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই অনুযায়ী ৮ জুলাই শুক্রবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। পরদিন শনিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আযহা। মসজিদে হারাম পরিচালনা পরিষদ এ তথ্য জানিয়েছে।
সৌদি আরবের তুমাইর এলাকায় জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি। তাই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে জিলহজ মাস। এর ফলে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ৬ জুলাই বুধবার থেকে।এদিনসন্ধ্যার পরপর ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে রওনা হবেন হাজিরা। ৭ জুলাই সারা দিন মিনায় অবস্থান করে ৮ জুলাই সকালে আরাফাতের ময়দানের দিকে যাত্রা করবেন তারা। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা হজের অন্যতম ফরজ। এদিন জোহরের নামাজের আগে আরাফাতের ময়দানসংলগ্ন মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দেওয়া হবে।
হজের খুতবা শেষে জোহর ও আসরের নামাজ পড়বেন হাজিরা। সূর্যাস্তের পর আরাফাতের ময়দান থেকে মুজদালিফায় যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে আদায় করবেন। মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সারারাত অবস্থানের পর শয়তানের স্তম্ভে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নেবেন হজব্রত পালনের জন্য সৌদি আরব যাওয়া মুসল্লিরা। ওই দিন ফজরের নামাজ শেষে বড় জামারায় (প্রতীকী বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করতে মিনায় যাবেন তারা। পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি দেবেন হজযাত্রীরা।
এ বছর ১০ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সৌদি থেকে ১৫ ও সারা বিশ্ব থেকে ৮৫ শতাংশ হজযাত্রী থাকবেন। এবার সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হাজি অংশ নেবেন ইন্দোনেশিয়া থেকে। দেশটির হজযাত্রীর সংখ্যা ১ লাখ ৫১ । আর বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসল্লি হজে অংশ নেবেন।করোনা মহামারীর কারণে ২০২১ সালে সৌদিতে বসবাসরত দেশ-বিদেশের ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেন। মহামারীর আগে ২৪ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করতেন। ২০২০ সালে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে সৌদি আরবের মাত্র এক হাজার লোক হজ পালন করেন।
শেয়ার করুন