পরস্পরকে আক্রমণ করে বক্তব্য, প্রার্থীদের সতর্ক করলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা

জাতীয়

নির্বাচনী প্রচারণায় পরস্পরের সম্পর্কে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন প্রার্থীরা। এমন অভিযোগ ওঠায় মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের প্রার্থীদের ডেকে সতর্ক করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ঊর্মি বিনতে সালাম। এই আসনে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ডেকে বৈঠক করেন।

বৈঠকেও কয়েকজন প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেন।

ওই বৈঠকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুলাউড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন। আট প্রার্থীকেই মুঠোফোনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন।

ইউএনও বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে আক্রমণ করে নানা বক্তব্য প্রদান করে চলেছে। এমনকি ফেসবুকেও এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ইঙ্গিত করে বিদ্বেষমূলক নানা মন্তব্য করে পোস্ট দিচ্ছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী (নৌকা), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন (সোনালী আঁশ), স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ (ট্রাক) ও আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মতিন (কাঁচি) তার (সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা) কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা প্রশাসক ঊর্মি বিনতে সালামের উদ্যোগে তার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে অভিযোগ দেওয়া চার প্রার্থী ছাড়াও বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী এনামুল হক (মোমবাতি) উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা আছে, প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক বা মানহানিকর কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয়; এমন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তা উপস্থিত সব প্রার্থীকে আচরণবিধির কথা মনে করিয়ে তা মেনে চলার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

আট প্রার্থীর মধ্যে বেশ কয়েকজন ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী থাকায় মৌলভীবাজার-২ আসনে ভোটের লড়াই জমে উঠেছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিউল আলম চৌধুরী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম এম শাহীন সাবেক সংসদ সদস্য। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম সফি আহমদ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মতিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য।

এ আসনে অন্য তিন প্রার্থী হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আছলাম হোসাইন রহমানী (মিনার), জাতীয় পার্টির আবদুল মালিক (লাঙ্গল) ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. কামরুজ্জামান সিমু (কুলা)।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *