পাপন বিসিবি ছাড়লে কে হবেন ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান?

খেলাধুলা
এবার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর এক সপ্তাহও পার হয়নি। এর আগেই শপথ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত নতুন মন্ত্রীসভা। নির্বাচনের চারদিনের মাথায় শপথ নিচ্ছেন নতুন মন্ত্রীরা। যেখানে অনেক পুরাতন মুখের সঙ্গে আছেন বেশ কিছু নতুন মুখ। যার মধ্যে আলোচিত নাম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান শীর্ষকর্তা এরইমাঝে নতুন মন্ত্রীসভার জন্য ডাক পেয়েছেন। এরপর থেকেই প্রশ্ন, তবে কি বোর্ড সভাপতির পদটা ছেড়েই দেবেন নাজমুল হাসান পাপন। যদি ছেড়েই দেন, তবে কে হবেন নতুন সভাপতি।

বিশেষ করে মাশরাফির নামটাই ভেসে আসছে সবার আগে। জাতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে লম্বা সময় ধরে যুক্ত ছিলেন তিনি। যে ২৫ জন সংসদ সদস্যকে মন্ত্রিসভায় শপথ গ্রহণের জন্য ফোন দেয়া হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছেন পাপন। মন্ত্রিত্ব পেলেও বিসিবির দায়িত্বে থাকতে বাধা নেই তার।

এর আগে বিসিবি সভাপতি ছিলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। সে সময় সংসদ সদস্য থাকা সাবের সাড়ে তিন বছর নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০২৫ সালের মেয়াদেই পাপনের শেষ দেখে ফেলেছেন অনেকেই। দেশের ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে মাশরাফিকে এই পদে দেখার আগ্রহ ব্যাপক।

অনেকের মতেই দেশের ক্রিকেটের অভিভাবকের পদে সাবেক এই টাইগার পেসারই যোগ্য ব্যক্তিত্ব। তবে, বিসিবির গঠনতন্ত্র দেখে কিছুটা হতাশ হয়ত হতেই হবে ক্রিকেট ভক্তদের। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এখনই সাকিব আল হাসান বা মাশরাফি বিন মোর্তুজার বিসিবি সভাপতি হওয়ার সুযোগ নেই।

এদিকে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়, এরপর হতে হয় বিসিবি পরিচালক। সাকিব নিজেই এখনও ক্রিকেটার আর মাশরাফি খেলা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও কোন আঞ্চলিক সংস্থায় যুক্ত হননি।

বিসিবিতে দুজনের কারোরই পরিচালকের পদ নেই। ফলে সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা। এদিকে নাজমুল হাসান পাপনের দায়িত্ব ছাড়ার পর তাই সাকিব বা মাশরাফি নন, বরং বিসিবিরই কোনো পরিচালকের এই পদে আসার সম্ভাবনা বেশি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *