পুলিশের অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করতে পারবে জামায়াত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজনীতি

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, অনিবন্ধিত সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর কর্মসূচির জন্য অবশ্যই অনুমতি নিতে হবে। সরকারতো সভা-সমাবেশ করতে কাউকে বাধা দিচ্ছে না।

মঙ্গলবার ৩০ মে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সোমবার ২৯ মে বিকেলে জামায়াতে ইসলামীর চার নেতাকে আটকের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: পুলিশের কাছে তাদের গোপন বৈঠকের তথ্য থাকায় চার নেতাকে আটক করা হয়। তবে এই বিষয়ে পরে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় ছেড়ে দেয় পুলিশ।

জামায়াতের সেই গোপন বৈঠকে নাশকতার কোনো পরিকল্পনা পুলিশ জানতে পেরেছে কিনা, সেব্যাপারে কিছু জানেন না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তবে তিনি বলেন, জামায়াতের মতো অনিবন্ধিত দলকে কর্মসূচি পালন করতে হলে অবশ্যই পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

কেরানীগঞ্জে বিএনপি-আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে কেনো বাধা দেয়নি পুলিশ। তারপরও তারা সমাবেশে যাবার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয়ায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ভাঙচুর করা হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়।

আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিচ্ছি না না দাবি করে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধীদলগুলো উস্কানি দিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে।

এরআগে মিলনায়তনে দেওয়া বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন: দেশের বাইরে সব ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বিভিন্ন বিভিন্ন দলের মানুষ। সে ক্ষেত্রে আপনাদের একত্রে থাকতে হবে। আমরা যদি একত্রে না থাকতে পারি, তাহলে হয়তো আমরা বিপদগ্রস্ত হব। সমস্ত বাংলাদেশ আজ এক। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশে কোনো অন্যায় হতে দেব না। কোনো অবিচার হতে দেব না, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেব না।

আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে ডেকে পাঠালেন, তখন আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন: তোমাকে মন্ত্রী বানানো হয়েছে, কারণ মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখযোদ্ধা ছিলে, কাজেই তোমাকে বানানো হয়েছে।, এটাই শেখ হাসিনা। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের ভাইয়ের মতো মনে করেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের মনে করেন দেশের সম্পদ। কারণ, তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারা আছেন বলেই দেশ আজ এগিয়ে চলছে।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *