গত ৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্থানীয় নিউজ পোর্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিউজে একটি ভিডিও সংবাদ প্রকাশ হয় যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেই সাংবাদটি মিথ্যা ও ভুল তথ্য দিয়ে ভরপুর। তাই আমি এর প্রতিবাদ করছি। সেখানে বলা হয়েছে নাওঘাট গ্রামের আনু মিয়ার স্ত্রীকে মারধোর করে হাতের কব্জী কেটে ফেলে দিয়েছে একই গ্রামের হেবজু মিয়া, তার তিন ছেলে সোহেল, ফয়সাল, রাসেল ও তাদের বোন কল্পনা বেগম । বিষয়টি অত্যন্ত হাস্যকর ও একই সাথে চরম মিথ্যাচার। কেননা, আনু মিয়ার স্ত্রী তাহমিনার হাতের কব্জী সম্পূর্ণ ঠিক আছে, তা কেউ কেটে ফেলে দেয়নি। এবং ওই সময় আমি সোহেল ও আমার ভাই ফয়সাল ছিলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে, এবং আমাদের বাবা হেবজু মিয়া ছিলেন তালশহর বাজারে। ওই সময় আমরা কেউ গ্রামে ছিলামনা। বরং গত বছরের ২৬ নভেম্বর সেলিম মিয়া, আনু মিয়া, আশরাফুল, শিপন মিয়া, তাহমীনা, লাইলী, হারুন মিয়া ও লিটন মিয়া আমাদের উপর নির্মম হামলা চালায়। আমরা তখন দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তখন আমার মা মর্জিনা বেগমের হাত ভেঙ্গে দেয় তারা। আমাদেরকে রক্তাক্ত করে।
ওই সংবাদে আরও বলা হয়েছে, এসময় আমরা নাকি তাদের স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছি ও প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেছি। প্রকৃত পক্ষে আমরা এসব করিনি বরং উল্টো তারাই তাদের ভাই মনু মিয়া মারা যাওয়ার পর মনু মিয়ার স্ত্রী সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে তারা। এখনো তারা বাড়িতে আসতে পারছেনা। মূলত, প্রবাসে থাকা আনু মিয়ার স্ত্রী তাহমিনা তার দেবর সেলিমের সাথে পরকীয়া করে। এসব নিয়ে কয়দিন পর পর ঝামেলা হয়। এসব বিষয় নিয়ে আমার বাবা মিমাংশা করতে গিয়ে তাদের শত্রু হয়েছেন।
ওই সংবাদটির প্রতিবেদক কোন অভিযোগ যাচাই না করে ও আমাদের কোন বক্তব্য না নিয়ে এসব বিষয় উল্লেখ্য করে সম্পূর্ণ এক তরফা ভাবে এমন ভিত্তিহীন ও মিথ্যা একটি সংবাদ প্রকাশ করেছেন যা অত্যন্ত দুঃখ্যজনক। আমরা মনে করি সম্পূর্ণ উদ্যেশ্য প্রনোদীত ভাবে প্রতিবেদক কারও প্ররোচনায় পড়ে এমন একটি ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রতিবাদকারী
সোহেল আহমেদ
পিতা: মোঃ হেবজু মিয়া
গ্রাম: নাওঘাট, উপজেলা আশুগঞ্জ।
জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া।