প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: আপনাকে জন্মদিনে অভিবাদন এবং শুভেচ্ছা ।- আল-আমিন

মুক্তমত

আপনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নব জাগরণে, অযুত সম্ভাবনার মুহূর্তে। বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনাময় আগামীর উন্নয়নের মহাসড়কে। দেশ এখন সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে উন্নয়নশীল দেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশে উন্নত হচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতায় আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা, জলবায়ুর পরিবর্তন, স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ণ, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলাসহ রাষ্ট্র সবক্ষেত্রেই সফলতার দিকে হাঁটছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে গেল চৌদ্দ বছর আপনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের বাংলাদেশ, স্বাধীনতার বাংলাদেশ, মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদমুক্ত বাংলাদেশ এবং তারুণ্যের চোখে আগামীর উন্নয়নের বাংলাদেশে রুপান্তরিত করেছেন।

আপনি দেশের অসহায় মানুষকে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানসহ অন্যান্য মৌলিক সুবিধা প্রদান করছেন। একেকটি গ্রামকে উন্নত শহরে রুপান্তর করছেন। নগর এবং গ্রামে প্রয়োজনীয় রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভাট করে দিচ্ছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছেন। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছেন। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করছেন।

অর্থনৈতিক অগ্রগতি, অবকাঠামো নির্মাণ, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন করছে এবং অন্যান্য উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে, উন্নয়নের মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে বিশ্বের দরবারে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত হচ্ছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশানুযায়ী দেশের অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি প্রতিষ্ঠায় দেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি হয়েছে।

দেশের সকল নাগরিকের সুবিধা সুনিশ্চিত, অসহায়ের মানুষের সহায়, তথ্য প্রযুক্তি প্রসারে হাতের মুঠোয় বিশ্ব, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ, কৃষকের মুখে হাসি, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, প্রশস্থ লেনের রাস্তা, গৃহহীনদের আবাসন নিশ্চিত, দরিদ্রের ঘরে বিনামূল্যে চাল, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্ত সম্মান, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার, সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, স্বনির্ভর বাংলাদেশ, মাদক নির্মূল, বয়স্ক ভাতা নিশ্চিতকরণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন।

বাংলাদেশ সারা বিশ্বের নিকট প্রাকৃতিক দুর্যোগের নিবিড় সমন্বিত ব্যবস্থাপনায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবহার এবং দারিদ্র দূরীকরণে ভূমিকা, বৃক্ষরোপণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকের ইতিবাচক পরিবর্তন প্রভৃতি ক্ষেত্রে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার আটটি লক্ষ্যের মধ্যে শিক্ষা, শিশুমৃত্যুহার কমানো এবং দারিদ্র হ্রাসকরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষা সুবিধা, নারীর ক্ষমতায়ণ, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুহার এবং জন্মহার কমানো। স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান এবং শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম অনেক তাৎপর্যবহন করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি শিক্ষাকে দেশের সর্বস্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শতভাগ ছাত্রছাত্রীর মাঝে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করছেন। দেশে একসাথে ছাব্বিশ হাজার একশত তিরানব্বইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ করেছেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের চাকরি সরকারীকরণ করেছেন, বেসরকারি স্কুল ও কলেজকে এমপিওভুক্তকরণ করেছেন, শিক্ষায় সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করাসহ নানা প্রকল্প গ্রহন করেছেন এবং তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

জন্মদিনে আপনার সু-স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করি। এই জন্মদিনে আপনাকে অভিবাদন এবং শুভেচ্ছা হে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *