প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে চা শিল্পে পরিবর্তন আনা সম্ভব-শাবিপ্রবি উপাচার্য

সিলেট

প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের চা শিল্পে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরি।

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘চা প্রদর্শনী ২০২৫’ এর উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধীন চাইনিজ কর্নার, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগ এবং বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাইনিজ কর্নারের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক ড. মো. সাহাবুল হক।

উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে চা-ভিত্তিক এই সহযোগিতা ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। প্রযুক্তিনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের চা শিল্পে গুণগত পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার চা চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বিপ্লব ঘটাতে পারে।

চা প্রদর্শনীতে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সিলর লি শাওপিং। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোশাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইসমাইল হোসেন, সিলেট মেট্রো পলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মাওলানা খাইরুল হোসেন এবং বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য তাহসীন আহমেদ চৌধুরি।

এসময় চীন ও বাংলাদেশের চা ঐতিহ্য, প্রক্রিয়াকরণ ও গবেষণার নানা দিক তুলে ধরেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফ্যুশিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুই, চীনা শিক্ষক জং কিয়ানআন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লি ইয়াংসি, ফুড এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ এবং সাংবাদিক সালাউদ্দিন বাবলু।

স্বাগত বক্তব্য দেন পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. জায়েদা শারমিন, সহকারী অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চা শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। চীনা প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় চা কমিউনিটির পরিবেশনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনী শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয় এবং বিশেষ স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করা হয়, যেখানে গবেষণা ও অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা স্থান পেয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *