নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার যুধিষ্ঠিপুর(যুধিষ্ঠি মরিলের বাড়ি)গ্রামের বাসিন্দা মো: সামছুল হকের ছেলে ছরওয়ার মুর্শেদ ডালিমের প্রতারনা চক্রের শিকার হয়েছেন বিশ্বনাথ উপজেলার সৎপুর গ্রামের তজমুল আলীর ছেলে দুবাই প্রবাসী আব্দুল হাফিজ।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়,ছরওয়ার মুর্শেদ ডালিম একজন দুবাই প্রবাসী নিরীহ লোক আব্দুল হাফিজকে দুবাইয়ে কাজ দেয়ার কথা বলে এবং ভিসা লাগিয়ে দেবে বলে তার কাছ থেকে ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেয়।জানা যায়,পুরো টাকা ভুক্তভোগী দেশের বাড়ি থেকে ঋণ-ধার করে দিয়েছে। এরপর নিরীহ হাফিজ তার সাথে মার্চ,জুন এবংজুলাই মাস কাজ করে। কিন্তু প্রতারক ডালিম সেই নিরীহ আব্দুল হাফিজকে তার সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক পরিশোধ করেনি।
ভুক্তভোগী দুবাই প্রবাসী নিরীহ আব্দুল হাফিজ বলেন, ছরওয়ার মুর্শেদ ডালিম একজন চিহ্নিত দালাল এবং প্রতারক হিসেবে পরিচিত। সে আমাকে আয়ের সুযোগ বুঝিয়ে আমার সাথে প্রতারনা করছে। আমিও আমার সরল মনে থাকে বিশ্বাস করে অনেক ঋনদার করে দেশ থেকে নিয়ে এই টাকা দিয়েছি।সে আমার কাছ থেকে টাকা নেওয়া সময় তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট ছবি প্রমান হিসেবে দিয়েছে,যা আমিও প্রমান হিসেবে রাখছি।মার্চ মাসে আমার পারিশ্রমিক হিসেবে ২৬ দিন কাজ করে ২০৮০ দেরহাম বেতনের মধ্যে ২৫০ দেরহাম দিয়েছে,মার্চ মাসের পাওনা ১৮৩০ দেরহাম। এরপর জুন ও জুলাই মাসের কাজের বেতন প্রতিমাসে ১৫০০ দেরহাম করে ২ মাসে ৩০০০ দেরহাম বেতনের মধ্যে শুধু খাবার খরচ দিয়েছে ৪০০ দেরহাম। জুন ও জুলাই মাসে বেতন পাওনা ২৬০০ দেরহাম। মোট বেতন বাবদ পাওনা ৪৪৩০ দেরহাম। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় = ১ লক্ষ টাকার বেশি। ভিসা বাবদ নিয়েছে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। বর্তমানে মোট প্রায় ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারক ছরওয়ার মুর্শেদ ডালিম দেশে আত্মগোপন করেছে।
তিনি আরও বলেন,আমি একজন নিরীহ লোক আইনের প্রতি আমি এবং আমার পরিবার যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।প্রতারক ডালিম আমাকে মিথ্যা পলোভন দেখিয়ে আমাকে ঠকিয়েছে,আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তাই আমরা এই দালাল ডালিমের কাছ থেকে আমার টাকা উদ্ধার এবং এই প্রতারনা চক্রকে সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে শাস্তির জন্য প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
শেয়ার করুন