বড়লেখায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মারামারি, কাউন্সিল স্থগিত

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ০৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাত নয়টার দিকে মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় হামলার অভিযোগ এনে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী মুরাদ মিয়া রাতেই পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ০৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে মোহাম্মদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর প্রধান অতিথি ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদ, পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী।

কাউন্সিলে সভাপতি পদে বেশ কয়েকজন পদ প্রত্যাশি ছিলেন। কাউন্সিল চলকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে তাদের পছন্দের প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করলে অপর সভাপতি পদপ্রত্যাশি মুরাদ মিয়া ও তার ছোটভাই জসিম উদ্দিন তাতে আপত্তি দেন। একপর্যায়ে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। এ সময় দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে তারা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এদিকে এই ঘটনায় রাতেই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী মুরাদ মিয়া তার ভাই জসিম উদ্দিন ও তার ওপর হামলার অভিযোগে অপরপক্ষের সুলতান মাহমুদ, সাহেদ আহমদ, শাহিন আহমদ, তারেক হাসনাত ও মাসুম আহমদকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

সভাপতি পদপ্রত্যাশী মুরাদ মিয়া বলেন, কাউন্সিলে সভাপতি পদে একাধিকজন পদপ্রত্যাশি ছিলেন। আমি ও আমার ছোটভাই সভাপতি প্রত্যাশি ছিলাম। কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) নিয়ম না মেনে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে সভাপতি পদে মেনে নিতে বাধ্য করার চেষ্টা চালায়। এসময় আমরা আপত্তি দিলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার ভাইকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। তার অবস্থা গুরুতর। তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপরক্ষের তারেক হাসনাত বলেন, ঘটনার সময় আমরা রুমের বাইরে ছিলাম। শুনেছি, আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা সভাপতি পদে প্রবীণ এক আওয়ামী লীগ নেতার নাম প্রস্তাব করলে সভাপতি পদপ্রত্যাশি মুরাদ মিয়া ও তার ভাই ক্ষুব্ধ হন। একপর্যায়ে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর বলেন, একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এ কারণে ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত করা হয়েছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, কাউন্সিল চলকালে হামলার অভিযোগে একজন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *