সিলেটে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি যাতায়াতের সড়ক সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে ছিল প্রায় পনেরো থেকে বিশ দিনের মতো। কুশিয়ার নদীর বাধ ভেঙে ও ভারি বৃষ্টির কারণে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে নদীর তীরে বাস করা মানুষের পাশাপাশি আঞ্চলিক মহাসড়ক সহ বিভিন্ন গ্রামীণ সড়কের ক্ষতির পরিমাণ অতীতের রেকর্ড ভেঙেছে। তবে সিলেট-বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বর্তমান অবস্থা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। মালবাহী ট্রাক সহ যাত্রীবাহী বাস সহ প্রতিদিন বড় বড় গর্তে পড়ে দিনের অর্ধেক সময় যানজটেই কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলা ইউনিয়ন ও চারখাই ইউনিয়ন দিয়ে অবস্থিত আঞ্চলিক মহাসড়ক গুলো ঘুরে দেখা যায় বড় বড় গর্তের পাশাপাশি রাস্তার পাশে মাঠি অনেকটা সরে গেছে। তা ছাড়া দীর্ঘ দিন পানি থাকার ফলে কার্পেটিং উঠে যাওয়া সহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়েছে যেগুলো দ্রুত সংস্কার না করলে সিলেটের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি হবে বিয়ানীবাজার,বড়লেখা ও জকিগঞ্জের লক্ষাধিক মানুষের।
সিএনজি চালক মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, সড়কটি বন্যার আগে চলাচল উপযোগী ছিল তবে স্মরণ কালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে আমরা জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে বড় বড় গর্ত উপেক্ষা করে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছি। ফিরোজা খাতুন নামের এক যাত্রী বলেন সিলেট থেকে বিয়ানীবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছিলাম সড়কের যে অবস্থা মনে হয়না কেউ ৩ ঘন্টার আগে বাড়িতে পৌছাতে পারবে।
এ বিষয়ে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, সিলেট -বিয়ানীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কে যে জায়গা গুলো বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানে আমরা চলাচল উপযোগী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সড়কে যাতে দ্রুত কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় আমরা সেই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করছি।
শেয়ার করুন