আমদানি বন্ধ থাকায় গত কয়েক মাস সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ভারতীয় পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। তবে সম্প্রতি দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে নতুন করে আমদানির খবরে ভোমরা বন্দরের ওপারে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে পেঁয়াজবোঝাই অর্ধশত ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়।
অনুমতি মিললেই যে কোনো সময় ভারতীয় পেঁয়াজের ট্রাক দেশে ঢুকবে বলে জানা গেছে। তবে ভোমরা বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, রোববার (২১ মে) বিকেল পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা আসেনি।
ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মন্টু বিশ্বাস বলেন, যে কোনো সময় বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি হতে পারে এমন খবরে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরইমধ্যে ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে ৫০টিরও বেশি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক অবস্থান করছে। এছাড়া আরও অনেক পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরের পথে। অনুমতি মিললেই এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করবে।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে বেশকিছু ট্রাকে ভারতীয় পেঁয়াজ আনা হয়েছে বলে সেখানকার ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে শুনেছি।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ আমদানির জন্য সরকারি অনুমতি মেলার পরও এলসি প্রক্রিয়াসহ অন্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে। এছাড়া যেসব পেঁয়াজ আগে এলসি করা হয়েছে সেগুলো আসতেও সময় লাগবে। অতি উৎসাহী হয়ে অনেক ব্যবসায়ী অগ্রিম পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়।
ভোমরা বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মো. মোহসিন বলেন, ওপারে কোনো পেঁয়াজ এসেছে কি না সেটি আমাদের জানা নেই। ভারতের বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ১৬ রুপি। বাংলাদেশে এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়ে আসলে পাইকারি ২১ থেকে ২২ টাকায় বিক্রি হতে পারে। তবে এবার ডলার মূল্য, পরিবহন খরচ হিসাব করে দাম নির্ধারণ হবে। দেশের বাজারে এসব পেঁয়াজ পৌঁছালে দাম কমতে শুরু করবে।
ভোমরা বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে রোববার বিকেল পর্যন্ত কোনো নির্দেশনা বা আইপি আসেনি।
তিনি বলেন, নির্দেশনা পেলে ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করবে।
শেয়ার করুন