বানারীপাড়ায় জমিসংক্রাস্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত সজিবের অবস্থা গুরুত্বর।

জাতীয়

জাকির হোসেন,বরিশাল প্রতিনিধি:

বরিশালের বানারীপাড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোদকে কেন্দ্র করে দিদিহার গ্রামের মৃত্যু মুজাহার উদ্দিন বেপারীর ছেলে মো মোশারেফ রেপারী ও আনিচুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন সুমির হামলায় হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত সজিব ও তার বাবা আব্দুল হাই আহত হন। হামলার ঘটনায় আহত সজিবের মা সুর্বনা পারভিন বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে দিদিহার গ্রামের মৃত্যু মুজাহার উদ্দিন বেপারীর ছেলে মো মোশারেফ রেপারী ও আনিচুর রহমানের স্ত্রী ফারজানা ইয়াসমিন সুমিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বাদীর ছেলে হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় তারা নিজের স্বামীর পৈত্রিক বাড়ি রেখে বানারীপাড়া পৌর শহরে বাড়ি করে বসবাস করে আসছে। আসামীরা তাদের দুরসম্পর্কের আত্মীয়। বিগত দিনে ঐ সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা করলে বাদীপক্ষ দো চালা টিনের ঘর উত্তোলন করে। ঘটনার দিন ৬ আগষ্ট সকালে আব্দুল হাই, স্ত্রী সুর্বনা পারভীন ও ছেলে আল আমিন সজিব তাদের বাড়ির গাছ বিক্রি করতে গেলে বিবাদীরা গালিগালাচ করে এবং গাছ ক্রেতাদের তাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে বাকবিন্ডার মধ্যে
হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত সজিবকে লক্ষ করে হামলা চালায়। হিমোফিলিয়া রোগে আক্রান্ত রোগীদের সামান্য আঘাতে মৃত্যু ঝুকি থাকে জেনেও তারা মাথায়, হাতে, পায়ে আঘাত করে। তাকে ছাড়াতে এসে তার বাবা আব্দুল হাই ও আহত হয়। বর্তমানে সজিব অসুস্থ অবস্থায় বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শে বরিশালে সিটিস্কান সহ অন্যান্য চিকিৎসা করলে ও এই রোগে মুল চিকিৎসা বরিশালে না থাকায় ২/১ দিনের মধ্যে ঢাকায় প্রেরন করা হবে। প্রসংগত ২০১৪ সালে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সজিবের বড় ভাই শাওন মারা গেছে। বর্তমানে সজিব ও মাথায় আঘাতের কারনে ঝুকিকে রয়েছে। বিগত ২০১০ সালে এলাকার এক প্রভাবশালীর ইন্দোনে জমি সংক্রান্ত মামলায় বরিশাল কোর্টে বাদীর পক্ষে ঐ সময় রায় আসে। ততকালিন বানারীপাড়া থানার সাবেক তদন্ত ওসি হুমায়ুন বিষয়টি সম্পূর্নরুপে অবগত ছিলেন। হিমোফিলিয়া এমন একটি রোগ যা জিনগত রোগ। এই রোগে রক্ত সঞ্চনে সমস্যা হয় তাই একবার রক্তনালী কেটে গেলে আর রক্তপাত বন্ধ হয় না। এই রোগে আক্তান্ত সজিব আসামীদের হামলায় গুরুতর অসুস্থ থাকায় সজিবের পরিবার বর্তমানে খুবই দুঃর্চিন্তায় রয়েছেন এবং সঠিক বিচারের জন্য আদালতের দারস্থ হয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *