সব সমালোচকের মুখ বন্ধ করে পাকিস্তানকে ঐতিহাসিক এক জয় এনে দিয়েছেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক দল। পাকিস্তানের ঐতিহাসিক এই জয়ের দিনে একগাদা রেকর্ডের সাক্ষী হয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া।
ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে জড়ো করে ১৯৯ রানের পাহাড়। তবে সেই পাহাড়কে ধুলোয় মিশিয়ে দেয় বাবর ও রিজওয়ানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ৩ বল হাতে রেখে ২০৩ রান নিয়ে বাবর আর রিজওয়ান যখন বীরের বেশে প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, পাকিস্তান তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে বাগিয়ে নেওয়া ১০ উইকেটের জয়ের মালিক।
শুধু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিই নয়, সব ধরনের অর্থাৎ স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেই এবারই প্রথম কোনো দল কোনো উইকেট না হারিয়ে ২০০ রান তাড়া করল। রান তাড়া করতে নেমে দুজনের ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটিও রেকর্ড।
এক্ষেত্রে বাবর-রিজওয়ান নিজেদের রেকর্ডই নতুন করে গড়েছেন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রান তাড়ায় নেমে ১৯৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন এই দুই তারকা।
৬৬ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা বাবর এদিন ২য় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজার রানের মালিক হয়েছেন। এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ২১৮ ইনিংস। ২১৩ ইনিংসে এই কীর্তি গড়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিস গেইল।
বাবর প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দুটি সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে অন্তত দুটি করে সেঞ্চুরি বাবর ছাড়া আছে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা, মার্টিন গাপটিল ও লোকেশ রাহুলের।
একনজরে এক ম্যাচে যত রেকর্ড
১. রান তাড়ায় সর্বোচ্চ রানের ওপেনিং জুটি (২০৩*)
২. ১০ উইকেটের ব্যবধানে পাওয়া টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়
৩. ২০০ রান তাড়া করে পাওয়া ইতিহাসের প্রথম ১০ উইকেটের জয়
৪. ২য় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে বাবরের ৮ হাজার রান
৫. প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাধিক সেঞ্চুরি বাবরের
৬. ইতিহাসের ষষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই অন্তত দুটি করে সেঞ্চুরি বাবরের