বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালকে জেপিকেপি’র ১৭ প্রস্তাবনা

সিলেট
বাংলাদেশের প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ (জেপিকেপি) এর পক্ষ থেকে সোমবার (১৬ জানুয়ারী ২০২৩) দুপুর ৩.০০ ঘটিকায় সিলেটের আলমপুরস্থ বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক মহের উদ্দিন শেখ এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সিলেট পাসপোর্ট অফিসের বিরাজমান সমস্যা দূরীকরণে ১৭ টি প্রস্তাবনা প্রদান করা হয়।
জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সভাপতি মাওলানা মুফতি মোঃ আব্দুর রহমান চৌধুরী এডভোকেট এর নেতৃত্বে প্রস্তাবনা প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জেপিকেপি’র উপদেষ্টা মোঃ ইদ্রিস আলী,  সহ-সভাপতি খায়রুল জাফর চৌধুরী, জেপিকেপি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় যুব দিবস ২০১০-এ জাতীয় যুব পুরস্কার শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক পদকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বেলাল উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাছলিমা আফরিন আঁখি।
১৭ টি প্রস্তাবনা প্রদানকালে পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক জেপিকেপি’র নেতৃবৃন্দদের আন্তরিকতার সাথে নিজ কার্যালয়ে শুভেচ্ছা জানান ও খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে জেপিকেপি’র প্রতিনিধিদের সাথে পাসপোর্ট অফিসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রায় ঘন্টাব্যাপি আলোচনা করেন। তিনি সিলেট পাসপোর্ট অফিসের সবধরণের বিরাজমান সমস্যা খুব দ্রæত সময়ে সমাধান হবে বলে আশ^াস দেন। পাশাপশি পাসপোর্ট অফিসে সবধরণের সেবা পেতে সর্বস্তরের নাগরিকবৃন্দদের সহযোগীতা কামনা করেন এবং অফিসের নিয়মনীতি মেনে সমস্যগুলো দ্রæততার সাথে কার্যকর হবে বলে জেপিকেপি’র নেতৃবৃন্দের কাছে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে জেপিকেপি’র নেতৃবৃন্দ পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালককে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়।
প্রস্তবনা সমূহ ঃ ১। চ্যানেলের টাকা অর্থাৎ মার্কার ঘুষ বন্ধ করতে হবে, ২। তথাকথিত রোহিঙ্গা চেক বন্ধ করতে হবে ৩। উপযুক্ত কাগজ জমা দেয়ার পরও পাসপোর্টের সংশোধনী না করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া বন্ধ করতে হবে, ৪। পুরাতন পাসপোর্ট থাকলে পুলিশ ভেরিফিকেশন বন্ধ করতে হবে, ৫। জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন আছে সেহেতু পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন নাই, ৬। আবেদন জমা নেয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ১৮ বৎসরের নীচে যাদের বয়স তাদেরকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে ফাইল জমা হয় সে ব্যবস্থা করা, ৭। পাসপোর্টের আবেদনের অনলাইন জমা দেয়ার সাথে সাথে তারিখ ও সময় দিয়ে বায়োমেট্রিক ও ফিঙ্গার প্রিন্ট গ্রহণ করা, ৮। ফিঙ্গার প্রিন্ট ও বায়োমেট্রিক বুথের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিতে হবে, ৯। জনগণের বসার স্থান বাড়াতে হবে, ১০। অফিসের বাইরে ছাদ ও ছাউনী দিয়ে বসার স্থান করে দিতে হবে, ১১। পাসপোর্ট প্রদানের তারিখ ও সময় অবশ্যই এস এম এস এর মাধ্যমে জানিয়ে দিতে হবে, ১২। পাসপোর্ট প্রদানের স্থান আলাদা গেইট দিয়ে প্রবেশ করে নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে, প্রয়োজনে পাসপোর্ট বিতরণের জন্য শহরের অন্য কোথাও স্থান নির্ধারন করে দিতে হবে, ১৩। আনসার বাহিনী ও অফিসে কর্মরত কর্তাদের অবৈধ ঘুষ বানিজ্য বন্ধ করতে হবে, ১৪। আনসার বাহিনী ও অফিসে কর্মকর্তাদের ব্যবহার সুন্দর ও মার্জিত হতে হবে, ১৫। সিলেট বিভাগের পাসপোর্টের প্রিন্টিং সিলেটেই করার ব্যবস্থা করে দিতে হবে (যদি সম্ভব হয়), ১৬। যেকোন নাগরিক  ১০ (দশ) বছর মেয়াদী পাসপোর্টের আবেদন করিতে পারিবে। ইদানিং শোনা যাচ্ছে ৬০ (ষাট) বছরের উর্দ্ধের নাগরিকগণ নাকি ৫ (পাঁচ) বছরের উর্দ্ধে কোন পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছেনা, ১৭। শিশু, মহিলা, বয়স্ক ও মুক্তিযোদ্ধাদের আলাদা লাইন ও বুথ দিয়ে আবেদন গ্রহণ ও পাসপোর্ট প্রদানের ব্যবস্থা করা।
শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *