বিশেষ স্টিকারে বৈধতা দিয়ে খুলনা-যশোর মহাসড়কে অবৈধ যান

জাতীয়

কে এম আলী,অভয়নগরঃ

যশোরের বিখ্যাত শিল্পনগরী অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় হাইকোর্ট’র রায়কে উপেক্ষা করে খুলনা- যশোর মহাসড়কের হাইওয়ে থানার সামনে দিয়ে অবাধে চলছে মটর চালিত ভ্যান, ইজি বাইক, মাহিন্দ্র, নসিমন, করিমন সহ কৃষি কাজে ব্যবহারিত ট্রাক্টর দিয়ে তৈরি মাটির টলির মতো বিপদ জনক যানবাহন।
উল্লেখিত যানবাহন চলাচলের ফলে মহাসড়কে বাস,ট্রাক,মিনিবাস,মাইক্রোবাসসহ অন্যান্য গাড়ির
জ্যাম হয়ে গাড়ির দীর্ঘদিন লাইনের সৃষ্টি হচ্ছে ফলে অফিস-আদালতসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজে কর্মরতদের সময়ের অপচয় হয়ে বাড়ছে জনদুর্ভোগ।অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন ও অনভিজ্ঞ চালকের জন্য মহাসড়কে ঘটছে দূর্ঘটনা।


উল্লেখ্য ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার বন্ধ একইসঙ্গে ব্যাটারিচালিত এসব যানবাহন আমদানি ও কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট। কিন্তু পরবর্তীতে হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ট্রাই-সাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল উদ্দীন আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান সামাদ-সহ আটজন আপিল বিভাগে পৃথক তিনটি আবেদন করলে ২০২২ সালের ৪ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আগের আদেশ সংশোধন করে মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি–হুইলার ইজিবাইক চলাচল থেকে বিরত রাখতে আদেশ দেন।
কিন্তু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও খুলনা -যশোর মহাসড়কে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না থ্রি-হুইলার সহ অবৈধ যান চলাচল ।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রকাশ‍্যে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে প্রতিদিন হাজারও থ্রী হুইলার, নিষিদ্ধ মাটির টলিসহ অবৈধ যান মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে।
এ সকল গাড়ির অনেক চালক নাম না প্রকাশের শর্তে অভিযোগ করেন, হাইওয়ে থানার কিছু কর্মকর্তা তাদের এ যানবাহন রাস্তায় চলাচলের জন্য যথাক্রমে ৫০০ – ৭০০-১২০০ টাকা মাসোহারা আদায় করে বিশেষ স্টিকারের মাধ্যমে বৈধতা দেন।
এ সকল যানবাহন মহাসড়কে চলাচলা একদিকে বাড়ছে ঝুঁকি অন্যদিকে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে স্টান্ড থাকার কারনে সৃষ্টি হয় যানজট ও জনদুর্ভোগ।

এ বিষয়ে নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি বলেন, মাসোহারার বিষয়টি মিথ্যা। তবেঅবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন।
কিন্তু দেখা যায় দায়সারা কর্তব্য পালন ছাড়া কোন কঠোর পদক্ষেপ নেন না। যেকারণে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে রয়েছে নেতিবাচক ধারণা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থায়ীয় সচেতন নাগরিকের সাথে কথা বললে তারা সরিষার ভেতরকার ভূতকে দায়ী করেন। তারা বলেন, মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজট মুক্ত রাখতে হলে এসকল অবৈধ যান চালকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া অতীব জরুরী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *