আর মাত্র আট দিন পর শুরু হবে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অথচ এখনও বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এই ব্যাপার নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন করে আরও বড় শঙ্কা জেগেছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে নাও দেখা যেতে পারে সাকিব আল হাসানকে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগের দিনটি কেটেছে নানা রকমের গুঞ্জন আর নাটকীয়তার মধ্যে। ছুটি কাটিয়ে ফিরেই মধ্যরাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় দেখা করতে যান প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাকিবও। ওই আলোচনাতেই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দেশের প্রথম সারির এক জাতীয় দৈনিকের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, ‘সাকিব অধিনায়ক থাকতে চায় না। কারণ অর্ধেক ফিট কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে সে বিশ্বকাপে যেতে চায় না।’
বোর্ড প্রধান পাপন, হাথুরুসিংহে ও সাকিবের আলাপ যে বিশ্বকাপের স্কোয়াড বাছাই করা নিয়েই ছিল তা অনুমেয়। জানা গেছে, মূলত দুটি ইস্যুতে সংশয় কাটাতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। একমত হতে পারছে না সব পক্ষ। একটি তামিম ইকবালের চোট, আরেকটি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নেওয়া-না নেওয়া।
পিঠের চোট কাটিয়ে ফিরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে খেলেন তামিম। বৃষ্টিতে এক ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ায় পরেরটিতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান এই অভিজ্ঞ ওপেনার। খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। তবে সেদিন ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি জানান, ব্যাটিং উপভোগ করলেও অস্বস্তিও বোধ করেছেন। তার চোটের যে ধরন, তাতে টানা খেলার নিশ্চয়তাও দিতে পারছেন না।
অস্বস্তি বোধ করায় এদিন হতে যাওয়া তৃতীয় ওয়ানডে থেকে ছুটি নিয়ে নেন সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম। কোচ হাথুরুসিংহে ও বর্তমান অধিনায়ক সাকিব চান পুরো ফিট স্কোয়াড নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে। কিন্তু চোট যে কোনো সময় গুরুতর হতে পারে, এই ব্যাপারে তামিম নির্বাচকদের অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে। ফলে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
উল্লেখ্য, তামিম নেতৃত্ব ছাড়ার পর গত মাসে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সাকিবকে বেছে নেওয়া হয়। তখন বোর্ড সভাপতি পাপন জানান, এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলনেতা থাকবেন এই বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার।
শেয়ার করুন