বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি মামলা

সিলেট

সিলেটের বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার জেরে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পৃথক দুটি মামলায় অজ্ঞাতানামসহ ৮০জনকে আসামি করা হয়।

একটি মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী রাজীব আহমদ(২৩) মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ‘বিশ্বনাথ সিআর ৪১৩/২০২৩’।

বৃহস্পতিবার (১৯অক্টোবর) দুপুরে সিলেটের বিশ্বনাথের ৩ নম্বর আমলি আদালতে রাজীব এই মামলার আবেদন করেন।

তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার হরিকলস গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি পার্থ সারথি দাশের অনুসারী বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, বিলুপ্ত বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি পার্থ সারথি দাস পাপ্পুসহ ৮জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনকে আসামি করে গত মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মাসুদ আহমদ রিপন (২২)।বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৪০৯।

রিপন বিশ্বনাথের জানাইয়া গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম রুকনের অনুসারী।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করে একটি পক্ষ। অন্যদিকে কমিটি বিলুপ্তির প্রতিবাদ জানাতে বিলুপ্ত কমিটির নেতা পার্থ সারথি দাশের নেতৃত্বে পাল্টা মিছিল বের হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পার্থ সারথি দাশসহ দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছিলেন।

রিপনের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু(৩৫), শরিষপুর গ্রামের ওয়ারিছ খানের ছেলে ও যুবলীগ নেতা রুহেল খান (৩৬), মাসুম (২২), বাচ্চু আহমদের ছেলে মাসুম আহমদ (২১), আমতৈল গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন আহমদ (৪০), হরিকলস গ্রামের নোয়াব আলীর ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী রাজীব আহমদ (২২), বরইগাঁও গ্রামের মনাফ মিয়ার ছেলে আফসর আহমদ শিমুল(২৩), দলিপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম নাহিদ(২২)।এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

রাজিবের দায়ের করা মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ(২৯), বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজ সুমন(৩৮), উপজেলা যুবলীগ নেতা রাজু আহমদ খান (৩২), ছাত্রলীগ নেতা কামরুল ইসলাম (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৯), শামীম আহমদ (৩৫), আবিদুর রহমান (২৬), জাকির হোসনে মামুন (২৭), রিপন মিয়া (২৫), মুহিবুর রহমান সুইট (৩৮), আসলাম মিয়া (২৫), জহির আলী (২৪), কামরান আহমদ (২৫) ও শুভ চন্দ (২৬)। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পৃথক দুটি মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এ.এস.এম.এ গফুর ও আইনজীবী রাজু ভৌমিক জানান, আদালত মামলা দুটি গ্রহণ করে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা ও মামলার কাগজপত্র পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *