বৈধ অস্ত্র জমার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ,৫ সেপ্টেম্বর শুরু হতে পারে যৌথ বাহিনীর অভিযান

জাতীয়

বৈধ অস্ত্র জমার সিদ্ধান্তে উদ্বেগ

বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়ার ঘোষণায় শিল্পপতি, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। অনেকে বিষয়টিকে দেখছেন ‘নিরাপত্তাহীনতা’র বড় শঙ্কা হিসেবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অনেক থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্ত হয়েছে। ভস্মীভূত ও ধ্বংস হয়েছে পুলিশের অনেক স্থাপনা। পুরো সক্ষমতায় ফেরেনি পুলিশ। অনেক আনসার সদস্য কাজে যোগ দেয়নি। মামলার আসামি হওয়ায় অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরো দমে চালু করা যায়নি পুলিশের টহল ও তল্লাশি কার্যক্রম। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে নেই সাঁড়াশি অভিযান। অনেক থানা ও ফাঁড়ির অস্ত্রাগার লুট এবং ধ্বংস হওয়ায় বৈধ অস্ত্র রাখার মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতাও নেই অনেক থানার। এই অবস্থায় লাইসেন্স নেওয়া বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার ঘোষণায় নতুন করে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ‍আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বলছেন, শঙ্কার কোনো কারণ নেই। পুলিশের সক্ষমতা ফিরে এসেছে। বৈধ-অবৈধ ও থানা-ফাঁড়ি থেকে লুণ্ঠিত সব ধরনের অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান বা সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় যৌথ অভিযান শুরু হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই অভিযান শুরু হওয়ার তথ্যও জানিয়েছেন অনেকে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল অস্ত্র জমা দিতে হবে। এরপর কারও কাছে কোনো অস্ত্র থাকলে সেটা অবৈধ বলে গণ্য হবে। ৩ সেপ্টেম্বরের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা সকল ধরনের বৈধ-অবৈধ লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করবে। আশা করছি, নিরাপত্তার ঘাটতি তৈরি হবে না।’ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা যেহেতু বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় মাঠে আছে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযানে তাদেরও সহযোগিতা নেওয়া হবে।’

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) রেজাউল করিম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘এখন আর অবস্থা আগের মতো নেই। পুলিশ সক্ষমতায় ফিরেছে। টহল তল্লাশিসহ যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, কারও নিরাপত্তা সংকট তৈরি হবে না। এ ছাড়া কেন এসব লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে সেটার কারণ প্রজ্ঞাপনেই বলা আছে। আমার মতেÑ এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। এরপরও কেউ নিজেদের অনিরাপদ মনে করলে পুলিশের পাশাপাশি ব্যাটলিয়ন আনসারের সহযোগিতা নিতে পারেন।’

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এক ঘোষণায় ‘২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া সকল ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে। একই সঙ্গে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সকল বৈধ লাইসেন্স গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় লাইসেন্স গ্রহীতা নিজে বা মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে অস্ত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান জানান, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে যারা অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়েছেন তাদেরকে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।

এদিকে এর আগে সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন সময় বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় থানা ছাড়াও লাইসেন্সধারী বন্দুক ব্যবসায়ীরা বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়া ও সংরক্ষণ করতে পারতেন। কিন্তু এবার প্রথম প্রজ্ঞাপনে সে ধরনের কোনো সুযোগ রাখা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ আর্মস ডিলার অ্যান্ড ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন থেকেও ক্ষোভ জানানো হয় এবং তাদের একটি প্রতিদিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি কোনোভাবেই যৌক্তিক হয়নি। তাই আমরা ক্ষোভ জানিয়েছি।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে ‘যাদের আগ্নেয়াস্ত্র থানা, জেলা ট্রেজারি ও আর্মস ডিলারদের নিকট জমা রাখা আছে; তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্র জমাদানের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না।’ অংশটি সংযুক্ত করা হয়।

একইভাবে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন থানা, ইউনিট, ডিউটিস্থল হতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের লুট হওয়া কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। লুণ্ঠিত অবশিষ্ট অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তর কোনো ব্যক্তির কাছে পুলিশের লুণ্ঠিত কোনো ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ রক্ষিত থাকলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত এবং ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশের পর অনেকেই সংশ্লিষ্ট থানায় যোগাযোগ করছেন। কীভাবে অস্ত্র জমা দিবেন সে বিষয়ে জানতে চাইছেন। অনেক থানার নথি পুড়ে যাওয়ায় অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তথ্য সংগ্রহ করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিসংযোগের কারণে আমাদের থানা সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এজন্য মিরপুর এলাকার বৈধ অস্ত্র ব্যবহারকারীদের কাফরুল থানায় অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। এ ছাড়া থানার নথি পুড়ে যাওয়ায় মিরপুর থানা এলাকায় লাইসেন্সপ্রাপ্তদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। এ তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। কাফরুল থানার ওসি কাজী গোলাম মোস্তফা বলেন, বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারকারীরা যোগাযোগ করে অস্ত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। যেকোনো সময়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে অস্ত্র জমা দেওয়া যাবে বলে তাদের জানানো হয়েছে।

ভাটারা থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, আমাদের থানা আক্রান্ত হয়ে অনেক নথি ধ্বংস করা হয়েছে। অস্ত্র জমা দিতে অনেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমরা শুরুতে নিতে পারিনি। কিন্তু গতকাল থেকে অস্ত্র জমা নেওয়ার কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু হয়েছে।

বর্তমানে দেশে কত বৈধ অস্ত্র আছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, সারা দেশে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩১০টি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অস্ত্র ৪৫ হাজার ২২৬টি। এসব অস্ত্রের মধ্যে পিস্তল ৪ হাজার ৬৮৩টি, রিভলবার ২ হাজার ৪৩টি, একনলা বন্দুক ২০ হাজার ৮০৯টি, দোনলা বন্দুক ১০ হাজার ৭১৯টি, শটগান ৫ হাজার ৪৪৪টি, রাইফেল ১ হাজার ৭০৬টি এবং অন্যান্য আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে ৪ হাজার ৬টি। বাকি অস্ত্রগুলো বিভিন্ন আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নামে লাইসেন্স করা।

প্রাপ্ত হিসাব বলছে, এসব অস্ত্রের মধ্যে ১০ হাজার ২১৫টি রয়েছে রাজনীতিবিদদের কাছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে রয়েছে ৭ হাজার ২১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র। বিএনপির নেতাকর্মীর কাছে ২ হাজার ৫৮৭টি এবং অন্যান্য দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নামে ৭৯টি বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদের শাসনামলে বিভিন্ন সময় বৈধ অস্ত্রের মারাত্মক অবৈধ ব্যবহারের ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক কর্মসূচি ও প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে আওয়ামী লীগের নেতা ও সমর্থকেরা বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করেন। কখনও কখনও অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে পরে সেটিকে বৈধ অস্ত্র বলে দাবির ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশিরভাগ সময়ে জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নিশ্চুপ ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে। এ ছাড়া গত ৫ আগস্ট ও পূর্ববর্তী সময়ে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও প্রকাশ্যে গুলি করতে দেখা যায়।

‘আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০১৬’ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি নিজের লাইসেন্সের বিপরীতে নেওয়া অস্ত্র শুধু আত্মরক্ষার জন্য বহন ও ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যের ভীতি বা বিরক্তি তৈরি হতে পারেÑ এমন ক্ষেত্রে অস্ত্র প্রদর্শন করা যাবে না। এটা করলে তার অস্ত্রের লাইসেন্স তাৎক্ষণিকভাবে বাতিলযোগ্য হবে।

গাজীপুরের জারুন এলাকার একজন শিল্পপতি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমার শিল্প প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৮ টি অস্ত্র বরাদ্দ রয়েছে। এর বাইরে ছিল আনসার ক্যাম্প। সেখানে ১২ জন অঙ্গীভূত আনসার ছিল। গত রবিবার আনসারদের আন্দোলনের কারণে আন্দোলনে যোগ দিয়ে আর ক্যাম্পে যোগ দেয়নি। এই অবস্থায় আমার প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে লাইসেন্স পাওয়া অস্ত্র থানায় জমা দিলে পুরো কারাখানা নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে।’ ওই শিল্পপতি বলেন, ‘ঢালাওভাবে অস্ত্র জমা না নিয়ে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও যারা বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করেছে তাদের অস্ত্র জমার সিদ্ধান্ত হলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতাম না।’

একইভাবে নারায়ণগঞ্জ, রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ী এবং শিল্পমালিকরা নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানান।

দুই প্রজ্ঞাপন

গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪ থেকে প্রকাশিত জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘বিগত ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট পর্যন্ত যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বেসামরিক জনগণকে প্রদান করা হয়েছে তা স্থগিত করা হলো এবং তাদেরকে আগামী ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো। The Arms Act, 1878 (Act XI of 1878) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রধান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা-২০১৬ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ওই প্রজ্ঞাপনে স্মারক নম্বর ছিল ৪৪.০০.০০০.০৭৭.২১.০২৫.২০২১-৩৩০। তারিখ : ২৫ আগস্ট ২০২৪।

একইদিন একই স্মারক নম্বর প্রতিস্থাপন করে উপসচিব মো. আরিফ উজ জামান স্বাক্ষরিত আরেকটি প্রজ্ঞাপন পাওয়া যায়। ওই প্রজ্ঞাপনের শুরুতে লেখা হয় ‘একই স্মারক ও তারিখ প্রতিস্থাপিত।’ তাতে বলা হয়, ‘বিগত ২০০৯ সালের ০৬ জানুয়ারি হতে ২০২৪ সালের ০৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করা হলো। স্থগিতকৃত লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসমূহ আগামী ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় লাইসেন্স গ্রহীতা নিজে/মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে জমা প্রদান করবেন। উক্ত তারিখের মধ্যে কোনো অস্ত্র/গোলাবারুদ থানায় জমা না দেওয়া হলে অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। ইতোমধ্যে যাদের আগ্নেয়াস্ত্র থানা, জেলা ট্রেজারি ও আর্মস ডিলারদের নিকট জমা রাখা আছে; তাদের ক্ষেত্রে অস্ত্র জমাদানের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না। The Arms Act, 1878 (Act XI of 1878) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা ২০১৬ অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন বলেন, প্রতিস্থাপিত প্রজ্ঞাপনটি কার্যকর থাকবে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শাখা ভালো বলতে পারবে।

প্রতিদিনের বাংলাদেশ

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *