ভরা মৌসুমেও চড়া সবজি বাজার

সিলেট

দীর্ঘদিন ধরেই নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বিভিন্ন সময় নানা পণ্যের দাম কিছুটা ওঠানামা করলেও বাজার ছুটছে ঊর্ধ্বমুখী। চলতি মাসের মাঝে শীতকালীন সবজিতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ভরা মৌসুমে ফের দাম চড়া।শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুতে অধিকাংশ শীতকালীন সবজির দাম বেড়েছে। এছাড়া আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল।

বাজারে সবজির মধ্যে নতুন আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে নতুন আলু আর পুরাতন আলু ৬৫ টাকা। চড়া বাজারে নতুন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকা, পুরাতন পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া পাকা টমেটোর কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে, কাঁচা টমেটো ৬০-৭০ টাকা। করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, মূলা ৩০-৪০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বরবটি ৭০-৮০ টাকা ও পেঁপে ৩০-৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, কচুর মুখী ৭০-৮০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

এই মওসুমে ফুলকপি ও বাঁধাকপি পিস বিক্রি হলেও বর্তমানে ফুলকপি কেজি ৭০ ও বাঁধাকপি কেজি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে কিছুটা কম-বেশিও বিক্রি হচ্ছে। লাউ-কুমড়া আকার অনুযায়ী পিস ৫০ থেকে ৮০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ২০-৩০ টাকা, লাউ শাক ২০-৩০ টাকা, মূলা শাক ২০-২৫ টাকা, পালং শাক ২০-৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫-২০ টাকা আঁটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।এদিকে মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্থানভেদে ফার্মের মুরগী কিছুটা কম-বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি প্রকার ও স্থানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস দাম কমে ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১০৫০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে মাছের দাম অনেকটা আগের সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল আছে। স্থানভেদে পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া স্থানভেদে শোল মাছ প্রতি কেজি ৪০০-৬০০ টাকা এবং শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাবদা মাছ ৪০০-৪৫০ টাকা, মলা ৪০০-৫০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৫৫০-৬০০ টাকা, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৫০০-৬০০, পাঁচ মিশালি মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, বাইম মাছ ১০০০-১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *