‘ভোটের জ্যোতিষী’ এডভোকেট নাসির খান!

সিলেট

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে ‘ওয়ান-ম্যান আর্মি’ হিসেবে পরিচিত।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৬ আসনে অগ্রীম ভোটের ভবিষ্যৎবাণী দিয়ে তিনি রীতিমতো সবাইকে তাক করে দিয়েছেন।

গত ০৩ জানুয়ারি বুধবার বিকেলে দক্ষিণ বিয়ানীবাজারে নৌকার প্রতীকের শেষ নির্বাচনী বিশাল জনসভায় তিনি বলেছিলেন, “এবারের নির্বাচনে সকল প্রার্থী মিলে যে ভোট পাবেন নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ একাই ততো ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হবেন। এতে কোন সন্দেহ নেই।”

তৃণমূল থেকে গড়ে ওঠা প্রাজ্ঞ এ রাজনীতিকের বক্তব্য ভোটের ফলাফলে শতভাগ প্রতিফলিত হয়েছে। নির্বাচনে শুদ্ধ ভোট কাস্ট হয়েছে ১১৪৫৭২। এডভোকেট নাসির খনের কথানুযায়ী এর অর্ধেক দাঁড়ায় ৫৭২৮৬। কিন্তু নুরুল ইসলাম নাহিদ পেয়েছেন ৫৭৭৭৮ ভোট। অর্থাৎ অর্ধেকের চেয়েও প্রায় হাজার ভোট বেশি।

এজন্য গত দু’দিন থেকে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীরা তাঁর ক্যারিয়ারে ‘ভোটের জ্যোতিষী’ নামে আরেকটি উপাধি যোগ করেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ সরগরম।

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে এক প্রতিক্রিয়ায় এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান বলেন, দীর্ঘদিন থেকে ভোট ও রাজনীতি করে আসছি। এজন্য মানুষের মুখের দিকে তাকালেই অনেক কিছু অনুমান করা যায়। নির্বাচনে আমি অনেক জায়গায় গিয়ে মানুষের মনের কথা উপলব্ধি করেছি। এরপর আমি ঘোষণা দিয়েছি, নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি’র ভোটের সাথে সব প্রার্থীর ভোটের সম্মিলিত যোগফল হবে সমান।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মৃদু হেসে বলেন, এখানে জ্যোতিষী হওয়ার মতো কিছু নেই। তবে আমার কথা সঠিক প্রমাণিত হওয়ায় কিছুটা হলেও পুলকিত হচ্ছি।

এদিকে, নুরুল ইসলাম নাহিদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান। তিনি সকল প্রলোভনকে পদদলিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত রাজনৈতিক এ নেতাকে বিজয়ী করায় দুই উপজেলার জনগণকেও ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, সিলেট-৬ আসনে ১৮২৯০ ভোট বেশি পেয়ে পঞ্চমবারের মতো বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি। তিনি পেয়েছেন ৫৭৭৭৮ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সরওয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৯৪৮৮ ভোট।

দু’উপজেলায় মোট ভোটার ছিলেন ৪ লাখ ৭২ হাজার ৭৪৯ জন। এরমধ্যে শুদ্ধ ভোট কাস্ট হয়েছে ১১৪৫৭২। তন্মধ্যে বিয়ানীবাজারে ৫৩১৬৮ ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৬১৪০৪ ভোট। দু’উপজেলা মিলে সোনালী আঁশ ১০৯৩৬ ভোট, লাঙ্গল প্রতীক ৫৫৭৯ ভোট, মিনার প্রতীক ৬২২ ভোট ও ছড়ি প্রতীকে ১৬৯ ভোট পেয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *