স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ
যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন রায়কে জুতা পেটা করেন তারই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকা।
আজ রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়-দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন রায়ের সাথে বিদ্যালয় সংক্রান্ত বিভিন্ন নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত ঐ স্কুলেরই এক সহকারি শিক্ষিকার বিবাদ চলছে।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে গিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে অফিস কক্ষে হাজিরা খাতা না পেয়ে পরীক্ষার হলে চলে যান। পরীক্ষা শেষে দুপুর সোয়া একটার দিকে তিনি প্রধান শিক্ষকের কক্ষে যান হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার জন্যে গেলে প্রধান শিক্ষক নিহার রঞ্জন তাকে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধা দেন। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়।
শিক্ষিকা অভিযোগ করেন- কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক তার শরীরে হাত তোলাসহ কাপড় ধরে টানাটানি করেন। প্রতিবাদে ওই শিক্ষিকা কক্ষের মধ্যেই প্রধান শিক্ষককে জুতাপেটা করেন।
পরে এ বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট মনিরামপুর থানা থেকে এসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য গিয়ে পরিস্থিত শান্ত করেন।
এ বিষয় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভোজগাতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিছুর রহমান তজু জানান-বিষয়টি নিয়ে দুই/এক দিনের মধ্যে ম্যানেজিং কমিটির জরুরী সভা ডেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে জানতে প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন রায়ের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান জানান- এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করা হলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার জানান-বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে আজ সোমবার সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন