যশোর শিশু একাডেমিতে যথাযথ মর্যদায় ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী পালিত

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

আজ (৯ অক্টোবর) রবিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যশোরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন যশোরের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যশোর জেলা কার্যালয়ে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো।

দিবসটি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা,দোয়া ও মোনাজাত
শিশুদের জন্য হামদ-নাত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মো. হুসাইন শওকত ডিডি, এলজি (উপ-সচিব)।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএ সদস্য হারুন অর রশীদ, বিএসএ সদস্য দীপংকর দাস রতন, জে এম ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ, যশোর ও মো. জামাল উদ্দিন, সিনিয়র শিক্ষক, যশোর জিলা স্কুল, যশোর।
সভায় বক্তরা হযরত মোহাম্মদ (সঃ) জীবন, দর্শন ও
কর্মময় জীবন নিয়ে আলোচনা করেন এবং আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ক্বারী মো. রফিকুল ইসলাম, মুয়াজ্জিন, কালেক্টরেট মসজিদ, যশোর।

শিশুদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হাম ও নাত প্রতিযোগিতায় ক- বিভাগে ১ম- আফিয়া আদিব আলিফ, ২য়- তাহসিনা তাবাসসুম, ৩য়- জারিফাহ নূর জাইয়ান। খ বিভাগ : ১ম – তাসফিয়া মাহমুদ পুষ্পিতা, ২য় : মোছা. মিফতাহুল জান্নাত, ৩য় – এস এম সাদমান ইসলাম বিজয়ী হয়।

আলোচনার পর অতিথিগণ বিজয়ী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য ৫৭০ সালের ১২ রবিউল আউয়াল এই দিনে মানবজাতির জন্য রহমত হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।

একসময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে এই ধরাধামে প্রেরণ করেন।

মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী খাদিজা নামে এক ধনাঢ্য নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন। পবিত্র কোরআন শরিফে মহান আল্লাহ বলেছেন, আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)

এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *