রাস্তা খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা, দুর্ভোগ ১৫ গ্রামের মানুষ

সুনামগঞ্জ

সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। ওপর বালুর আস্তরণ। সড়কের দুই পাশে ইটের দেয়াল করায় পানি জমে সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন।

জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের শ্রীরামসির রাস্তার মুখ থেকে শ্রীরামসি বাজার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ পাঁচ মাস আগে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

ক্ষুব্ধ হয়ে এক জনপ্রতিনিধি ঠিকাদারের মালামাল নিজ বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখেছেন। এরপরও খোঁজ নেই ঠিকাদারের।

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে কাজটি হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়ক খুঁড়ে রেখেছেন ঠিকাদারের লোকজন। শুকনা মৌসুম হওয়ায় সড়কজুড়ে বালুর রাজত্ব। একটা যানবাহন গেলেই চারপাশ ধুলায় ছেয়ে যাচ্ছে। সড়কের দুই পাশে ইটের দেয়াল করার পানি জমে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

৩ নং মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুব হোসেন বলেন, এ সড়কে দিয়ে উপজেলার সৈয়দপুর, শাহারপাড়া,আশারকান্দিও মীরপুর ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষের যাতায়াত করেন। দুই বছর ধরে ঠিকাদার কাজ শেষ না করে মালামাল যাতে ঠিকাদার নিয়ে যেতে না পারেন, তাই একটি রোলার ও একটি ট্রাক্টর তার বাড়িতে নিয়ে রেখেছেন।

এলজিইডি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামসি সড়কের রাস্তার মুখ থেকে শ্রীরামসি বাজার পর্যন্ত ওই সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইরশাদ কনস্ট্রাকশন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সড়কের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে ঠিকাদার মো. সান্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। কথা বলার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো তদারক কর্মকর্তাকেও পাওয়া যায়নি।

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, ঠিকাদারকে কাজ শেষ করতে তাগদা দিতে দিতে তারাও হতাশ। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *