শরিকের জমি না পেয়ে গোপালগঞ্জে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছোট ভাইয়ের বউ ও তার মেয়েকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে বড় ভাই হারুন মিনা। হত্যাকাণ্ডের শিকাররা হলেন- বিউটি বেগম (৪০) ও তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী লামিয়ার (১৪)।
লামিয়া সদর উপজেলার খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমাস আল-রাজী রোববার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের হারুন মিনা ও তার ছোট ভাই টুকু মিনার সাথে শরিকের জমি নিয়ে বেশ কিছুদিন যাবত বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটিসহ মারামারির ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। গ্রামবাসী বার বার চেষ্টা করেও তাদের বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি।
সবশেষ রোববার সন্ধ্যায় ছোট ভাই টুকু মিনার মেয়ে লামিয়া বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ভগ্নিপতির সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এ সময় চাচা হারুন মীনা ভাতিজি লামিয়াকে সরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। ভাতিজি না সরায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে চাচা হারুন মিনা তার স্ত্রী ও মেয়ে মিলে ঘরে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র (কাতরা) দিয়ে লামিয়াকে উপর্যপুরি কোপাতে থাকে। এ সময় মা বিউটি বেগম ও ছোট বোন অন্তরা ঠেকাতে গেলে তারা বিউটি বেগম ও অন্তরাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মা-মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
রাত ১১ টার পর পুলিশ হারুন মিনাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান এসআই।