বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেটে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গের সাথে এক মতবিনিময় সভা রোববার (২৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় মিরাবাজারে একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কমরেড খালেকুজ্জামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার মোঃ আরশ আলী, সিলেট জেলা জাসদ সভাপতি লোকমান আহমদ, অধ্যাপক ডঃ আবুল কাশেম, সিপিবি সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মোঃ আরিফ মিয়া, বাসদ(মার্ক্সবাদী) জেলা আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি কমরেড সিকান্দার আলী, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সিরাজ আহমদ, জার্মান প্রবাসী সাকি চৌধুরী, জাসদ জেলা সাধারণ সম্পাদক কেএ কিবরিযয়া চৌধুরীও মহানগর সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, সিপিবি সাধারণ খায়রুল ইসলাম, জাসদ নেতা নাজমুল ইসলাম, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট মহীতোষ দেব মলয়।
অন্যান্যোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাসদ সিলেট জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল, জেলা শাখার সদস্য জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী সুমন,নাজিকুল ইসলাম, মাসুমা খানম, বাসদ (মা) সদস্য এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, বিপ্লবী কর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট রণেন সরকার রণি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সদস্য বিশ্বজিৎ নন্দী, মহানগর আহ্বায়ক সনজয় শর্মা প্রমূখ।
মতবিনিময় সভায় কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদ পূর্বসূরিদের সংগ্রামী ঐতিহ্য, মানবজাতির ও আমাদের ভূ-খন্ডের মানুষের অগ্রগতির সহায়ক অর্জনসমূহকে রক্ষা করতে ও বিকশিত করতে চাই। হৃদয়হীন-লোভাতুর এই বুর্জোয়া সমাজ বেষ্টনীর বাইরে, মায়ামমতায় সিক্ত জীবনের ছবি দেখাতে চাই। বিগত সময়ে তার কতটুকু করতে পেরেছি তা বড় কথা নয়; কিন্তু অব্যাহত চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।
কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কালে সমাজে একটা বন্ধন তৈরি হয়েছিল, গোটা সমাজ একটা পরিবারের রূপ ধারণ করেছিল। সেটা জাতীয় জাগরণের মধ্যে একটা জাতীয় পারিবারিক বন্ধন তৈরি করেছিল। আগামী দিনেও শোষণমুক্ত শ্রেণহীন সমাজ নির্মাণে একটা শ্রেণি বন্ধন লাগবে। বর্তমান সমাজকাঠামো মানুষের মধ্যে যে বিচ্ছিন্নতা তৈরি করেছে সেটা কাটিয়ে মানুষের মধ্যে প্রাণের স্পন্দনে বন্ধন তৈরি করতে হবে।
কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে-ভাবজগত, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সমস্ত ক্ষেত্রে পরিবর্তনের একযুগপৎ প্রচেষ্টা না থাকলে, সার্বিক আয়োজন না থাকলে একটা শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার কাজ সম্পন্ন হয় না। কারণ শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা সেই দিনই সম্পন্ন হবে, যেদিন সমাজের অধিকাংশ মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংগ্রহণ এবং অবদান যে মাত্রারই হোক এক বিন্দুতে মিলিত হবে।
শেয়ার করুন