হবিগনজ প্রতিনিধিঃ
বাহুবল উপজেলার মুখকান্দি গ্রামের কিশোর কামরান আখঞ্জী (১৪)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয় তার। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত কিশোর কামরান আখঞ্জী ওই গ্রামের আব্দুল হাই আখঞ্জীর পুত্র। সে স্থানীয় চলিতাতলা মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, গত বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য ওই কিশোরের মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হলেও ৩দিন পর শনিবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরমধ্যে মরদেহ যাতে করে গলে পচে না যায় সে জন্য চা-পাতা বরফ ও দিয়ে পলিথিনে করে মুড়িয়ে রাখা হয়। ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্যাডমিন্টন খেলার এক পর্যায়ে হঠাৎ অসাবধানতাবশত তার ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য টানানো বিদ্যুতের লাইন স্পর্শ করে। এতে কামরানের মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় বাহুবল মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু এদিন হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক স্বাচিপ পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ঢাকা চলে যান। যে কারণে কামরানের মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। চিকিৎসকরা ফিরলেও ‘পুলিশ সুরতহাল না দেওয়ায়’ মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল। যা নিয়ে পুলিশ ও ডাক্তারদের মধ্যে শুরু হয় ঠেলাঠেলি।
যদিও বাহুবল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশার জানান, তারা মরদেহের সঙ্গেই সুরতহাল প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এ ছাড়া ঘটনার দিন থেকে একজন পুলিশ সদস্য মর্গে ছিলেন। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী জানান, সম্মেলনে থাকার কারনে তারা ময়নাতদন্ত করতে পারেনি। আবার পুলিশও সুরতহাল দেয়নি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুরতহাল না দিলে লাশ মর্গে থাকার কথা না।
এ বিষয়ে কামরানের বাবা আব্দুল হাই আখঞ্জী জানান, আমার ছেলে খেলতে গিয়ে মারা গেছে। কারো বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। আমরা ময়না তদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করতে ছেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ডাক্তারের জটিলতায় পড়ে প্রায় ৩দিন পর আমরা ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পেয়েছি। এটা আমাদের জন্য অনেক কষ্টের।