সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা করছেন না সিলেটের ব্যবসায়ীরা!

সিলেট

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পুরো বিশ্বেই অস্থির জ্বালানি তেলের বাজার। দেশেও বেড়েছে দাম। যার প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে গত বছরের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠানো হয়। এদিকে, নির্দেশনা অমান্য হলে আইন অনুযায়ী ছয় মাসের কারাদণ্ডসহ জরিমানার কথা উল্লেখ করেছিলেন শ্রম সচিব মো. এহছানে এলাহী।

 

রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে দোকান, মার্কেট, শপিংমল। তবে খোলা থাকবে হোটেল, ফার্মেসি, পেট্রোল পাম্পসহ জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।

সরকারি নির্দেশনা মেনে গত কয়েক মাস রাত আটটার পর সিলেটের দোকানপাট ও বিপণিবিতানগুলো বন্ধ থাকে। তবে কাঁটায় কাঁটায় আটটার নিয়ম না মানলেও সাড়ে আটটার মধ্যেই পণ্য বিক্রির পাট চুকিয়েছেন অধিকাংশ ব্যবসায়ী। তবে বর্তমানে এই নির্দেশনার তোয়াক্কা করছে না ব্যবসায়ীরা।

আটটায় দোকান ও বিপণিবিতান বন্ধ করা নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা প্রথম দিকে আটটায় দোকান, মার্কেট, শপিংমল বন্ধ করে ফেলতেন, তাবে এখন এই নির্দেশনা সম্পর্কে নতুন সিদ্ধান্ত না আসায় তার আগের সময়েই মানে ৯টায় কোন কোন সময় ১০টায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করছেন। সরকারের ঐ সিদ্ধান্তে ব্যবসার বেশ ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।

সিলেট জেলা ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন জানান, সরকারী নির্দেশ মোতাবেক সিলেটের সকল মার্কেটগুলো রাত আটটার পর বন্ধ করা হত। তবে মর্কেটের বাহিরের সব দোকান বা শোরুম গুলো রাত দশটা পর্যন্ত খোলা থাকে। এ বিষয়ে আমরা সিলেট সিলেট চেম্বার অব কমার্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছি, যাতে রাস্তার পাশের সব দোকান ও শোরুগুলোকে রাত আটটার পর বন্ধ করা হয়। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তাই সবার সাথে তাল মিলিয়ে মার্কেটগুলো খোলা রাখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মজিবর রহমান জানান, ২০২২ সালের জুনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ সময় সকারের নির্দেশ অনুযায়ী মার্কেটগুলো বন্ধ করা হত। রাত আটটার পর মার্কেট খোলা রাখা হলে ব্যবস্থাও নেয়া হত। পরবর্তী সময়ে নতুন কোন নির্দেশনা না আসায় আটটার পরে খোলা মার্কেট বা শপিংমলগুলোর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে নতুন কোন নির্দেশনা আসার সাথে সাথে তা কার্যকর করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *