এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা খুব একটা ভালো যায়নি সাকিব আল হাসানের। গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচই হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে খেলা দুই ম্যাচে সাকিব ব্যাট হাতে ১১ ও ২৪ রান করেছেন। উইকেট পেয়েছেন মাত্র একটি।
এশিয়া কাপে ভালো করতে না পারার ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে বাংলাদেশ দল সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছে। আর সাকিব পাড়ি জমিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে। সিপিএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাট হাতে তাঁর পারফরম্যান্স ছিল তথৈবচ, টানা দুটি গোল্ডেন ডাক। ওই দুই ম্যাচে অবশ্য উইকেট নিয়েছেন তিনটি।
এশিয়া কাপ ও সিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর যেন ঘুরে দাঁড়িয়েছেন সাকিব। সিপিএলে নিজের তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ২৫ বলে ৩৫ রান করার পর বল হাতে ২০ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোররাতে হয়ে যাওয়া ম্যাচে ব্যাটে-বলে আরও উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সকে ৫ উইকেটে জেতাতে অর্ধশতক করার পাশাপাশি একটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব। টসে জিতে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ফিল্ডিং নেয় সাকিবের দল। বার্বাডোজকে ১২৫ রানে অলআউট করে দিতে ২.৩ ওভারে ১২ রান দিয়ে একটি উইকেট নিয়ে ভূমিকা রাখেন সাকিব। ১৪ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন কিমো পল ও ওডিন স্মিথ।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চার ওভারের মধ্যে ১৮ রানে চন্দরপল হেমরাজ ও শাই হোপের উইকেট দুটি হারায় গায়ানা। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা সাকিবের ৫৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৩৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের সহজ জয় পায় গায়ানা।
৩০ বলের ইনিংসটিতে সাকিব ৫টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছয় মারেন। অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব।
শেয়ার করুন