সিলেটের মাঠে রংপুরকে হারিয়ে অপরাজিত’ই থাকলো খুলনা

খেলাধুলা

ঢাকা পর্বে দুই ম্যাচেই জিতেছিল এনামুল হক বিজয়ের খুলনা টাইগার্স। সিলেট পর্বটাও জয় দিয়েই শুরু করল তারা। সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ২৮ রানে হারিয়েছে তারা। খুলনার ১৬০ রানের জবাবে ১৩২ রানে শেষ হয়েছে নুরুল হাসান সোহানদের ইনিংস। ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তারা।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৫ ওভারে মাত্র ১৩ রান করে রংপুর, হারায় ২ উইকেট। ৮ বলে ২ রান করে বাবর আজম ও ৫ বলে ১ রান করে বিদায় নেন ব্রান্ডন কিং। দলীয় ৪৯ রানে রনি তালুকদার আউট হন টেস্ট মেজাজে খেলে। ২৫ বলে ১৫ রান করেন তিনি।

তখন রানের চাকা সচল রেখেছিলেন শামিম পাটোয়ারি। থার্ডলেগের দিকে বেশ কয়েক চার হাঁকান তিনি। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৩০ রান করে থামেন তিনি। আগ্রাসী ছিলেন মোহাম্মদ নবি। নবির মারের মধ্যেই একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নুরুল হাসান, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান। আজমত ৪, নুরুল ১, সাকিব ২ ও মেহেদী ১২ রান করেন। ফলে জয়ের দৌড়ে অনেকটা পিছিয়ে পড়ে রংপুর।

নবি ৫০ রানে আউট হলে ৮ বল বাকি থাকতেই শেষ হয় রংপুরের ইনিংস। ৩০ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান আফগান অলরাউন্ডার। খুলনার হয়ে শানাকা ৪টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান ওয়াসিম জুনিয়র ও মোহাম্মদ নেওয়াজ। এক উইকেট নেন নাসুম আহমেদ।

এর আগে তিন বিদেশির (মোহাম্মদ নেওয়াজ, দাসুন শানাকা ও এভিন লুইস) ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পায় খুলনা। নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে তারা। টস হেরে ব্যাট করতে নামা খুলনার শুরুটা খুবই বাজে হয়। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান উঠাতে সক্ষম হয় তারা, সেটিও লেগ বাই থেকে। ৭ বল খেললেও রানের খাতা খোলার আগেই ক্যাচআউট হন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।

আজমতউল্লাহকে বিজয়ের মেডেন ওভার দেওয়ার দৃশ্যটি নন-স্ট্রাইকপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বসী ব্যাটার এভিন লুইস। সেই ওমরজাইয়ের ওপরই পঞ্চম ওভারে চড়াও হন লুইস। মাত্র ৪ বল ফেস করেই ১৭ রান নেন তিনি, পঞ্চম ওভারে সাকুল্যে আসে ১৮ রান। মাহমুদুল হাসান জয় ও আফিফ হোসেন স্কোরবোর্ডে তেমন অবদান রাখতে পারেননি। জয় ৭ ও আফিফ ৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। লুইস ২৫ বলে ৩৭ রান করে আউট হন দলীয় ৬৪ রানে। টপঅর্ডারের ৪টি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন হাসান মাহমুদ ও শেখ মেহেদী।

এরপর লঙ্কান অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা ও পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নেওয়াজের ব্যাটে শক্ত ভীত গড়ার চেষ্টা করে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে দুজনে মিলে গড়েন ৭৭ রানের জুটি। হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড আউট হয়ে ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন শানাকা। ৩৩ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও একটি ছয় হাঁকান লঙ্কান অলরাউন্ডার। রিপন মণ্ডলের ওভারে আউট হওয়া নেওয়াজ ৩৪ বলে করেন ৫৫ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। বাকিদের মধ্যে ওয়াসিম জুনিয়র ৭ ও হাবিবুর রহমান সোহান ১ রান করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *