সিএনজির সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে দু’পক্ষে সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত অর্ধশতাধিক

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার আগুয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ও শুকুর মিয়ার ছেলে আব্দুল কাদির। আহত কয়েকজনকে হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে লিলু মিয়া সিলেট নেওয়ার পথে আনু মিয়া নামে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যানেজার বদির মিয়া ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বদির মিয়া ও সিএনজিচালক আব্দুল কাদিরের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টির জের ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাধে।

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আলী আহমদ জানান, হঠাৎ করে দেখি উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেছে। সংঘর্ষের সময় একে অপরের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে।

ইদ্রিস আলী নামে অপর অরেকজন জানান, একটি সিএনজিস্ট্যান্ড নিয়ে ও সিএনজির সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। অপর দু’জন হাসপাতালে মারা গেছে। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সিএনজি স্ট্যান্ডের ম্যানেজার বদির মিয়া জানান, চালক কাদির মিয়ার সঙ্গে আমার সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে উত্তেজিত হয়ে তাদের লোকজনকে খবর দেয়। পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া জানান, বদির মিয়া ও তার লোকজন সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। আজ কাদির মিয়া স্ট্যান্ডে গেলে তাকে বাধা দেয়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এ সময় তারা আমাদের ৪ জন লোককে হত্যা করে।

এ ব্যাপারে মন্দরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছু মিয়া বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে পূর্ব শত্রুতা ছিল কিনা আমার জানা নেই। তবে আজ সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের পরপরই আমি বানিয়াচং থানায় খবর দিয়েছি এবং হাসপাতালে আহত ও নিহতদের খোঁজখবর নিয়েছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, ওই উপজেলার আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ডে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। তবে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *