সিলেটসহ দেশের ১৫ জেলার ওপর দিয়ে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর (পুনঃ) ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগেই বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া কোথাও কোথাও ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া এদিন সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
এ সময় সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। কুড়িগ্রামের রাজারহাটে রোববার সর্বনিম্ন ২৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগেরদিন শনিবার (৩০ জুলাই) বাগেরহাটের মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাটে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ সময় দিনাজপুরে ৮২, নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৭৬, রংপুরে ৪৬, সিলেটে ৪৫, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ২০, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও নীলফামারীর ডিমলায় ১৮ এবং চুয়াডাঙ্গায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ ছাড়া টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁর বদলগাছী, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল, মোংলা, যশোর, পটুয়াখালী এবং ভোলাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বাড়তি অংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
শেয়ার করুন