রোজার মাসে বিকালে অফিস বা দিনের কাজ শেষে সবাই সময়মতো ঘরে ফিরতে চান। পরিবারের সঙ্গে করতে চান ইফতার। সেজন্য একটু তাড়াহুড়ো করেই কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি অটোরিকশা বা রাইড শেয়ারিং যোগে গন্তব্যের দিকে ছুটেন।
সিলেটে ইফতারের আগমুহূর্তে মানুষের যখন তাড়া থাকে ঘরে ফেরার, তখন তার সুযোগ নিয়ে যাত্রীদের বিপাকে ফেলেন চালকরা। সেই সময়টিতে একদিকে যেমন যানবাহন পাওয়া কঠিন হয় পরে, অন্যদিকে ভাড়া গুনতে হয় প্রায় দ্বিগুণ।
বেসরকারি চাকরিজীবী লিমন জানান, ইফতারের আগে এমনিতেই রাস্তায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়ে যায়। সেই সুযোগে চালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন। ইফতারের আগ মুহূর্তে এমনিতেই গাড়ি পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে গাড়িতে উঠতে হচ্ছে। পনেরো টাকার সিএনজি ভাড়া দিতে হয় ত্রিশ টাকা। কোন কোন সময় এর বেশিও ভাড়া দিতে হচ্ছে। রোজার মাসে এমন নৈরাজ্য, দেখার যেন কেউ নেই।
ফাহমিদা নামের এক কলেজছাত্রী জানান, ক্লাস শেষে রিকশায় করে বাস ফিরেন তিনি। কিন্তু বিকালের দিকে রিকশা ভাড়াও বাড়িয়ে দেন চালকরা। দিগুন ভাড়া দিতে হয় তাদের। তার উপর যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়।
সিএনজি চালক নূর জানান,ইফতারের আগে অধিকাংশ মানুষ অফিস বা কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে চান। তাই রাস্তায় মানুষের চাপ বাড়ে, যার ফলে গাড়ি-ঘোড়ার সংকট দেখা দেয়। মানুষের চাপের কারেণে যানজট লেগে যায়। রমজানে আমাদেরও অনেক সময় রাস্তায় ইফতার করতে হয়। তাই সব মিলিয়ে এই সময়টিতে ভাড়া একটু বেশি রাখা হয়।
জনদুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টিতে সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়ার কথা বলছেন ভুক্তভোগীরা।
শেয়ার করুন