একের পর এক নোটিশ দেয়া হলেও টনক নড়ছেনা বশির আহমদের। বিধিবহিভূতভাবে নির্মিত তার বহুতল ভবনটি এখনো বহাল। অবশ্য তাকে সিলেট সিটি করপোরেশনের একটি প্রভাবশালী মহল সার্বিক সহযোগীতা করছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্র।
সিলেট মহানগরির ২১নং ওয়ার্ডে আইনের তোয়াক্কা না করেই ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। খোদ সিটি কর্পোরেশন থেকে তিনবার ভবনের বিধিবহির্ভূত অংশ অপসারণের নির্দেশ সংবলিত নোটিশ প্রদান করা হলেও তা ভাঙা হচ্ছেনা। উল্টো ভবন নির্মাণকারী অর্থ আর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বীরদর্পে সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেই চলেছেন। ভবনটির মালিক সিলেট মহানগরীর ১১২/এ মোহিনী খন্ডিকরপাড়ার (লামাপাড়া) মৃত আনছার আলীর ছেলে বশির আহমদ। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বশির আহমেদের লামাপাড়া নিশি মঞ্জিল নামের ৩তলা ফাউন্ডেশনের ওই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ অমান্য করে। ভবনটির উত্তর, দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্বাংশ ও পশ্চিমাংশে অনুমোদিত নকশার বাইরে তৈরি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ভবনের নংশার বাইরের অননুমোদিত অংশ অপসারণের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রথম নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে ৭ দিনের ভূমির দলিলপত্র অনুমোদিত নকশা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর উত্তর, দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও পশ্চিমাংশের বিধিবহিভূত অংশটির পরিমাণ উল্লেখ করে ৭ দিনের মধ্যে তা অপসারণের নির্দেশ সংবলিত আরেকটি নোটিশ প্রদান করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। কিন্তু এসব নোটিশকে কোনো পাত্তাই দেন নি বশির।
এ অবস্থায় গত ৪ জুলাই আরেকটি নোটিশ প্রদান করা হয়। এ নোটিশে তিনদিনের মধ্যে ভবনের বিধিবহির্ভূত অংশ অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর প্রায় তিনমাস চলে গেলেও বশিরের টনক আর নড়ছেইনা। আবার সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরাও তাদের কার্যক্রম ফাইলবন্দী করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নইলে সর্বশেষ নোটিশে দেয়া তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না কেন, এমন প্রশ্ন তুলছেন সচেতন অনেকেই।
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপগ্রহণে সিলেট সিটি করপোারেশনের ইঞ্জিনিয়ার সুপারিন্টেড আলী আকবর ও সাব ইঞ্জিনিয়ার বেলাল আহমদের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক নাগরিক।
বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে আলী আকবরের বক্তব্য শুনে তার কিছুটা হলেও সত্যতা মিলেছে। খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারি একজন প্রকৌশলী বিষয়টি বিস্তারিত অবগত বলে স্বীকার করলেও তিনি তাৎক্ষনিক লামপাড়ার বশির আহমদ বা তার ভবন নিশিমঞ্জিল সম্পর্কে কোনো কিছুই স্মরণ করতে পারেন নি।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেছেন, বিধিবর্হিভূত অংশ অপসারনের দুটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এখনো তিনি তা অপসারণ না করে থাকলে এবার চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হবে। এতেও কাজ না হলে সিটি করপোরেশন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আর সহকারি প্রকৌশলী বেলাল আহমদ টালবাহানা বা বশির আহমদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আইনের কাজ আইনের মাধ্যমেই হবে। অফিসিয়ালি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দুটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ না হলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখানে পক্ষপাতের কিছু নেই। যারা এসব কথা রটাচ্ছেন তার কোনো ভিত্তি নেই।
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে একাধিকবার বশির আহমদের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
শেয়ার করুন
সিলেট মহানগরির ২১নং ওয়ার্ডে আইনের তোয়াক্কা না করেই ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। খোদ সিটি কর্পোরেশন থেকে তিনবার ভবনের বিধিবহির্ভূত অংশ অপসারণের নির্দেশ সংবলিত নোটিশ প্রদান করা হলেও তা ভাঙা হচ্ছেনা। উল্টো ভবন নির্মাণকারী অর্থ আর প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বীরদর্পে সিটি কর্পোরেশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করেই চলেছেন। ভবনটির মালিক সিলেট মহানগরীর ১১২/এ মোহিনী খন্ডিকরপাড়ার (লামাপাড়া) মৃত আনছার আলীর ছেলে বশির আহমদ। তার বিরুদ্ধে মানব পাচারের অভিযোগসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
বশির আহমেদের লামাপাড়া নিশি মঞ্জিল নামের ৩তলা ফাউন্ডেশনের ওই ভবনটি তৈরি করা হয়েছে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ১৯৯৬ অমান্য করে। ভবনটির উত্তর, দক্ষিণ, দক্ষিণ পূর্বাংশ ও পশ্চিমাংশে অনুমোদিত নকশার বাইরে তৈরি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর ভবনের নংশার বাইরের অননুমোদিত অংশ অপসারণের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রথম নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশে ৭ দিনের ভূমির দলিলপত্র অনুমোদিত নকশা দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর উত্তর, দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্বাংশ ও পশ্চিমাংশের বিধিবহিভূত অংশটির পরিমাণ উল্লেখ করে ৭ দিনের মধ্যে তা অপসারণের নির্দেশ সংবলিত আরেকটি নোটিশ প্রদান করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান। কিন্তু এসব নোটিশকে কোনো পাত্তাই দেন নি বশির।
এ অবস্থায় গত ৪ জুলাই আরেকটি নোটিশ প্রদান করা হয়। এ নোটিশে তিনদিনের মধ্যে ভবনের বিধিবহির্ভূত অংশ অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর প্রায় তিনমাস চলে গেলেও বশিরের টনক আর নড়ছেইনা। আবার সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরাও তাদের কার্যক্রম ফাইলবন্দী করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নইলে সর্বশেষ নোটিশে দেয়া তিনদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা পরবর্তী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না কেন, এমন প্রশ্ন তুলছেন সচেতন অনেকেই।
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত পদক্ষেপগ্রহণে সিলেট সিটি করপোারেশনের ইঞ্জিনিয়ার সুপারিন্টেড আলী আকবর ও সাব ইঞ্জিনিয়ার বেলাল আহমদের বিরুদ্ধে টালবাহানার অভিযোগ করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেক নাগরিক।
বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে আলী আকবরের বক্তব্য শুনে তার কিছুটা হলেও সত্যতা মিলেছে। খোদ নির্বাহী প্রকৌশলী ও সহকারি একজন প্রকৌশলী বিষয়টি বিস্তারিত অবগত বলে স্বীকার করলেও তিনি তাৎক্ষনিক লামপাড়ার বশির আহমদ বা তার ভবন নিশিমঞ্জিল সম্পর্কে কোনো কিছুই স্মরণ করতে পারেন নি।
তবে নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেছেন, বিধিবর্হিভূত অংশ অপসারনের দুটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এখনো তিনি তা অপসারণ না করে থাকলে এবার চূড়ান্ত নোটিশ দেয়া হবে। এতেও কাজ না হলে সিটি করপোরেশন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আর সহকারি প্রকৌশলী বেলাল আহমদ টালবাহানা বা বশির আহমদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আইনের কাজ আইনের মাধ্যমেই হবে। অফিসিয়ালি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দুটি নোটিশ দেয়া হয়েছে। এরপরও কাজ না হলে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। এখানে পক্ষপাতের কিছু নেই। যারা এসব কথা রটাচ্ছেন তার কোনো ভিত্তি নেই।
বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে একাধিকবার বশির আহমদের মোবাইল নম্বরে কল দিলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।