সিলেটের নগরের মানুষের যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। নগরের অভ্যন্তরে বিকল্প কোন গণপরিবহন না থাকায় এই সিএনজি অটোরিকশা একমাত্র ভরসা নগরবাসীর। আর এই সুযোগ নিচ্ছে সিএনজি চালকরা। সিটি কর্পোরেশন থেকে নগরে রিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হলেও সিএনজি চালিত অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ না করায় কোন রুটে ভাড়া কত হবে সেটি স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনগুলোই নির্ধারণ করছে। এর ফলে বিপাকে পরছেন সাধারণ যাত্রীরা। বাড়তি ভারা দিতে হচ্ছে প্রায়ই, সময় ভেদে গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া।
প্রশাসন থেকে নির্ধারণ করা দেওয়া তিনজন যাত্রী, সেটিও মান হচ্ছে না। প্রায়ই নেয়া হচ্ছে বাড়তি যাত্রী। সেক্ষেত্রে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
বন্দর বাজার থেকে টিলাগড় তিন জনের ভাড়া ১৫ টাকা হলেও সেটি মান হচ্ছে না। প্রায়ই তোলা হচ্ছে চার জন, সময় ভেদে পাঁচ জন। ভাড়ার ক্ষেত্রেও করা হচ্ছে নৈরাজ্য। সময়ভেদে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২৫ টাকা করেও।
নগরের কুমারগাও বাসস্ট্যান্ড থেকে জিন্দাবাজার এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া সর্বোচ্চ ১০০ থেকে ১১০ টাকা হলেও, সেখানে দিতে হয় ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। এমন অবস্থা পুরো সিলেট নগরের।
টিলাগড়ের বাসিন্দা হিমেল বলেন, সিএনজি ভাড়া নিয়ে প্রতিদিন চালকদের সাথে বাকবিতণ্ডা করতে হয়ে। সকালে অফিসে যাবার সময় এক ভাড়া দিতে হয় আবার রাতে অফিস শেষে বাসায় আসার সময় আরেক ভাড়া দিতে হয়। এই ভোগান্তি প্রতিদিনের।
সিএনজি চালক লিমন বলেন, সব কিছুর দাম এখন উর্ধ্বমুখী। গ্যাসের দামও দিন দিন বাড়ছে। সব মিলিয়ে বেচে থাকা কষ্টকর হয়ে পরেছে। তবে বাড়তি ভাড়া বা অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন নির্ধারিত ভাড়ার বাইরে একটাকাও বেশি নেন না তারা।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার ফয়সল মাহমুদ বলেন, সিএনজি ভাড়ার বিষটি মূলত বিআরটিসি নির্ধারণ করে, পুলিশ এটি নির্ধারণ করেত পারে না। সিএনজিতে তিনজনের বিষটি নজরদারি করা হচ্ছে। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তবে যেসব এলাকায় নজরদারি কারা যায়না সেসব এলাকায় বাড়তি যাত্রী নেয়া হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সেসব এলাকাও নজরদারির আওতায় আনা হবে।
বিআরটিএ সিলেট এর সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মো. সানাউল হক বলেন, সিলেটে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নির্ধারণের নিতিমালা তাদের কাছে নেই। এটি নির্ধারণ করেন সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি।
সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মো. জাকারিয়া বলেন, সিএনজি ভাড়া আসনে সরকার ধারা নির্ধারণ করা হয় না, ২০১৫ সালের গেজেট অনুযায়ী সিএনজি মালিক সমিতি ভাড়া নির্ধারণ করে থাকে।
বাড়তি ভাড়া বা যাত্রী নেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি বন্ধে তদারকি করা হচ্ছে। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৬ থেকে ১৭ জন চালককে বিভিন্নভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
শেয়ার করুন