সিলেটে প্রায় ৩৫ হাজার মামলা ঝুলে আছে। তন্মধ্যে দেওয়ানি মামলা যেমন আছে, হাজার হাজার ফৌজদারি মামলাও আছে। পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব মামলা ঝুলছে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি আর ভোগান্তির শেষ হচ্ছে না।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশের মামলার তালিকা থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মার্চ পর্যন্ত সময়ে দেশে ৪০ লাখ ২১ হাজার ৭৬৩টি মামলা বিচারাধীন ছিল।
প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, সিলেট বিভাগে ৩৫ হাজার ১২৮টি মামলা পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন রয়েছে।
তন্মধ্যে দেওয়ানি মামলার সংখ্যা ২১ হাজার ৬৩১টি। আর ফৌজদারি মামলার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৯৭টি।
দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মামলা পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিচারাধীন আছে ঢাকা বিভাগে।
বছরের পর বছর মামলা চলমান থাকায় বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ, ভোগান্তি শেষ হচ্ছে না। তারা দ্রুত বিচার শেষ হোক, এমনটা চান।
জানা গেছে, বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ দূর করতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দায়িত্ব গ্রহণের পর উদ্যোগ নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে দেশের আট বিভাগে আটটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি জেলায় জেলায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদের সঙ্গে কথা বলেছেন, মতবিনিময় করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার ও মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন, ৫-১০ বছরের পুরোনো মামলার তালিকা করা হয়েছে। জেলাগুলোতে সেই সব পুরোনো মামলার তালিকা করে বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হচ্ছে, যাতে এগুলো গুরুত্বসহকারে নিষ্পত্তি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলছেন, দ্রুত বিচার পাওয়া বিচারপ্রার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার কেবল বিচারকেরা চাইলেই সম্ভব নয়, এর জন্য আইনজীবীসহ সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে। সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে হবে সরকারকে। সরকার আদালতের সংখ্যা, বিচারকদের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাড়াতে পারে। আর বিচার বিভাগ ডিজিটালাইজড করতে পারলে নিষ্পত্তিও বাড়বে।
হয়রানি করতে কেউ যাতে মিথ্যা মামলা দিতে না পারে, সেজন্য মিথ্যা মামলার ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান প্রয়োজন বলে মনে করেন সুমন।
শেয়ার করুন