বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু হয়েছে। টানা ৭২ ঘণ্টা অবরোধ শেষে দুই দিন বিরতি দিয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে দলগুলো।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, এনডিএমসহ যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সমমনা জোট ও দলগুলো। অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও এবি পার্টি।
এদিকে, অবরোধের প্রথম দিনে সিলেটে রোববার সকাল থেকে কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে দুর পাল্লার কোন ধরণের বাস ছেড়ে যায় নি। তবে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
অবরোধের প্রথম তিন ঘন্টায় অর্থাৎ সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া না গেলেও সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের সাত মাইল নামক স্থানে পিকেটিং করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় তারা একটি প্রাইভেট কারের গ্লাস ভাঙচুর করে। তবে সাথে সাথেই পুলিশ এসে ধাওয়া করলে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান।
বিএনপি-জামায়াতের এ অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে নাশকতা ঠেকাতে মাঠে রয়েছে পুলিশ, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। রোববার ভোর থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা।
চলাচল বা পণ্য পরিবহনে কোথাও বাধা দেওয়া হলে অথবা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কাজ করবে বিজিবি। বিশেষ করে মহাসড়ক ও রেলপথের নিরাপত্তায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে পুলিশ। নিয়মিত টহল দিচ্ছে র্যাব-৯।
শেয়ার করুন