নিজস্ব প্রতিবেদক::::
সিলেটে সাংবাদিকতার আড়ালে অপরাধী চক্র গড়ে উঠেছে। তারা চোরাকারবারী, মাদক পাচার, প্রতারণা, সাইবার মামলার অপরাধে মামলা,ধর্ষণসহ একাধিক মামলার চিহ্নিত আসামী। এসকল অপরাধী চক্র তাদের অপরাধ আড়াল করতে ছদ্মবেশ ধারণ করে বেছে নিয়েছে সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার আড়ালে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলায় এদের বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা। এসকল মামলায় অপরাধীরা দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিনে বের হয়ে পুনরায় তাদের অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে তুলেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কানাডায় ওয়ার্কপারমিট ভিসা দেওয়ার নাম করে ফয়ছল আহমদ নামে এক জনের কাছ থেকে গ্লোবাল টিভির ব্যুরোচীপ পরিচয়ধারী ও দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথা পত্রিকার সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন ১ লক্ষ টাকা নেন। দীর্ঘদিন ভিসা না দেওয়ায় ফয়ছল আহমদ টাকার দাবী করলে মাহতাব উদ্দিন মিথ্যা জিডি করে ও হাওরাঞ্চলের কথাসহ বিভিন্ন বেনামী অনলাইন পোর্টালে ফয়ছল আহমদকে পরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী সাজানোর উদ্দেশ্যে একাধিক মিথ্যা সংবাদ করে। এসব সংবাদ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে ভাইরাল করে।যা ফয়ছল আহমদের জন্য মানহানিকর।
এ অভিযোগে ফয়ছল আহমদ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সিলেট এসএমপির শাহপরাণ (রহ:) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন (যারা জিডি নং–৪০৬, তারিখ-০৮/০৭/২০২৩ইং)।জিডিসূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী ফয়সল ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে সাধারণ ডায়রী করেছেন। আসামীরা হলেন, হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার মো: রায়হান হোসেন, মোহনা টিভির সিলেটের ব্যুরোচীপ ও হাওরাঞ্চলের কথার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার, গ্লোভাল টিভির ব্যুরোচীফ ও হাওরাঞ্চলের কথার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন, হাওরাঞ্চলের কথার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হেলাল আহমদ চৌধুরী, হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার কামরুল ইসলাম, পিতা: সিরাজ মিয়া, সাং-আরপিন নগর, থানা- সুনামগঞ্জ সদর, জেলা- সুনামগঞ্জ। দৈনিক হাওরাঞ্চলের কথার আইটি ইনচার্জ মিজানুর রহমান।
এ প্রসঙ্গে ফয়ছল আহমদ বলেন, আসামীরা সিলেটের চিহ্নিত অপরাধী চক্র। তাদের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে। তারা বিভিন্ন মামলায় জেল খেটেছে। জের থেকে বের হয়ে সাংবাদিকুার আড়ালে অপরাধী চক্র গড়ে তুলেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে তাদের অনেক সহযোগীকেও পাওয়া যাবে। মাহতাব উদ্দিন কানাডা প্রেরণের নামে আমার কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এখন সে অন্যান্য অপরাধীদের নিয়ে আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। আমি আসামীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে আমার অন্য একটি মামলাও রয়েছে। কানাডা প্রেরণের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারের জানতে চাইলে অভিযোগের আসামী মোহনা টিভির সিলেটের ব্যুরোচীফ ও হাওরাঞ্চলের কথার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার কে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি,গ্লোভাল টিভির ব্যুরোচীফ ও হাওরাঞ্চলের কথার সম্পাদক মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।হাওরাঞ্চলের কথার স্টাফ রিপোর্টার মো: রায়হান হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি প্রতিবেদককে জানান,তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মী কোন দালাল না।এরকম কোন অপরাধের সাথে তিনি জড়িত নয় এবং বিষয়টি জানা নয় বলে অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে আরও জানতে চাইলে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে এসএমপির শাহপরাণ (রহ:) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের প্রতিবেদকে জানান,আমাদের থানায় জিডি দায়ের করা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের তাই আমরা সিলেট সাইবার ট্রাইবুন্যাল থেকে অনুমতি নিয়ে অভিযোগের তদন্ত ও সত্যতা যাচাই করবো।তদন্তপূর্বক অভিযোগ সত্যতা পেলে অবশ্যই আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শেয়ার করুন