সিলেটে কোরবানির পশুর হাটে বিকিকিনি একেবারেই কম। হাটে গরুর কোনো কমতি না থাকলেও ক্রেতাদের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত বিকিকিনি না হওয়ায় পশু ব্যবসায়ীদের মধ্যে এখনও হতাশা বিরাজ করছে।
সিলেরে বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিশ্বনাথ উপজেলার অন্যতম বড় পশুর হাট বসে উপজেলা সদরে। গতকাল বুধবার বিকালে সদরের এই পশুর হাটে গিয়ে শত শত গরু ও ছাগল দেখা গেছে। কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। অন্যদিকে, যেসব ক্রেতা হাটে এসেছিলেন, তাদের অনেকেই গরু না কিনে ফিরে গেছেন। এর কারণ হিসেবে ‘মাত্রা ছাড়া’ দামের কথা বলছেন তারা।
উপজেলার অংলকারী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের হুশিয়ার আলী বলেন, ‘বিক্রেতারা অত্যধিক দাম চান। রীতিমতো মাত্রা ছাড়া দাম বলা যায়। যে গরু সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা হতে পারে, সেটি ৯০ হাজারের নিচে বেচতে বিক্রেতারা রাজি নন!’
এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট নগরীর কাজিরবাজার পশুর হাটে গিয়ে ক্রেতা উপস্থিতি কম দেখা গেছে। এ হাটে হাজারো পশু থাকলেও বিকিকিনি প্রত্যাশামতো হচ্ছে না বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
রংপুর থেকে পশু নিয়ে আসা খবির উদ্দিন বলেন, ‘বিক্রি নিয়ে মোটামুটি হতাশ এখন পর্যন্ত। আজ ছাড়া আরও দুইদিন আছে, দেখা যাক কী হয়….।’
হাট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা ছোট ও মাঝারি গরুর দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বড় গরুর দিকে তাদের আগ্রহ কম।
নগরীর যতরপুর থেকে গরু কিনতে আসা জয়নাল মিয়া বলেন, ‘মাঝারি আকারের একটা দেশি গরু কিনবো। বাজারে গরুর কোনো অভাব নেই। তবে বিক্রেতারা দাম বেশি চাইছেন।’
তবে পশু ব্যবসায়ীরা দাম বেশির কারণ হিসেবে গোখাদ্যের দামবৃদ্ধির কথা বলছেন।
ব্যবসায়ী হিরণ মিয়া বলেন, ‘খৈল, ভুসি, খড়, লবণ সবকিছুর দাম বেশি। বন্যার কারণে কাঁচা ঘাসেরও সংকট। এজন্য দাম কিছুটা বাড়তি এবার।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুই দফার বন্যায় সিলেট এখন বিপর্যস্ত। লাখ লাখ মানুষ পড়েছেন সংকটের মধ্যে। এর প্রভাব এবার কোরবানির বাজারে পড়বে
শেয়ার করুন