স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট মহানগর বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে জাতীয়তাবাদী শক্তির মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। বাসা-বাড়ী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে চলছে সরব প্রচারণা। ব্যস্ত সময় পার করছেন সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের ৮ প্রার্থী।
নিজের প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনার পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে কুৎসা রটনাও। এ নিয়ে রীতিমত দুই বলয়ে বিরাজ করছে উত্তেজনা। সভাপতি পদে মুখোমুখি হয়েছেন প্রবীণ ও নবীণ নেতা। আর সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেমেছেন একই ওয়ার্ডের সাবেক দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলার প্রার্থী। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়ছেন সাবেক ৪ ছাত্রনেতা।
জানা গেছে, আগামী ১০ মার্চ সকাল ১০টায় নগরীর রেজিষ্ঠারী মাঠে সিলেট মহানগর বিএনপির কাউন্সিল ও সম্মেলন। তফশিল ঘোষণার পর থেকে কাউন্সিল ঘিরে চলছে নানা নাটকীয়তা। মনোনয়ন জমা দেয়ার আগেই সভাপতি প্রার্থী হওয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ৩ জন। সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রার্থীই সক্রিয় আছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৫ জনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন ৪ জন। কাউন্সিল ঘিরে নেতাকর্মীর মধ্যে চলছে নানা বিশ্লেষণ। সভাপতি পদে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বলয় থেকে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও সাধারণ সম্পাদক পদের ২ প্রার্থীই মুক্তাদির বলয়ের। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আরিফুল হক চৌধুরী বলয়ের ১ প্রার্থীর বিপরীতে মুক্তাদির বলয় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ৩ জন। ফলে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদের বিজয় নিয়ে দুই বলয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। প্রার্থীরা প্রকাশ্য প্রচারণায় থাকলেও সিনিয়র নেতারা কাজ করছেন পর্দার অন্তরালে। নিজ বলয়ের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নানা কৌশলে কাজ করছেন তারা।
জানা গেছে, মহানগর বিএনপির সভাপতি প্রার্থী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী। নাসিম হোসাইন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলয় থেকে এবং মিফতাহ সিদ্দিকী সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বলয় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যদিও কেউ ই কোন প্রার্থীকে নিজের বলয় হিসেবে স্বীকার করতে চান না। তবুও মহানগর কাউন্সিল ঘিরে দুই বলয়েই চলছে মৃদু উত্তেজনা।
নাসিম হোসাইন বিএনপির সিনিয়র নেতা। দীর্ঘ সময় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দলকে পুনর্গঠনে তার অবদান রয়েছে। নিজ হাতে তৈরী করেছেন অনেক নেতাকর্মী। খন্দকার মুক্তাদিরের আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় তৃণমূলে বেশ সুবিধা পেতে পারেন তিনি। কারণ নগরীর মাঠ পর্যায়ে খন্দকার মুক্তাদিরের একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এছাড়া শক্তিশালী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম সভাপতি প্রার্থী থেকে সরে যাওয়ায় এবং নাসিমের পক্ষে মাঠে সক্রিয় থাকায় তিনি বেশ সুবিধা পাবেন বলে মনে করেন নাসিম হোসাইনের সমর্থকগণ।
এদিকে মিফতাহ সিদ্দিকী অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতা। গেল কমিটিতে নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব হওয়ার সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর আশির্বাদ পুষ্ট হওয়ায় মিফতাহ সিদ্দিকী ইতোমধ্যে একটি নিজস্ব বলয় তৈরীতে সক্ষম হয়েছেন। যে বলয়ে বেশীরভাগ নেতাকর্মী বয়সে তরুণ। বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটিতে থাকা তরুণ নেতাকর্মীদের ভোট তার পক্ষে যেতে পারে বলে মনে করেন মিফতাহ সিদ্দিকীর সমর্থকগণ। এছাড়া উৎসাহব্যঞ্জক ও সাহস যোগানো সুবক্তা হিসেবে নেতাকর্মীদের কাছে তার একটা স্বতন্ত্র অবস্থান রয়েছে। যা আগামী কাউন্সিলে সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে।
সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও বিগত সিটি নির্বাচনে একই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলার পদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী। ফরহাদ চৌধুরী শামীম তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্ব। রাজনীতিতে যার রয়েছে আলাদা নিজস্ব বলয়। একাধিকবার নির্বাচিত কাউন্সিলার হিসেবে নগরজুড়ে তার একটা আলাদা পরিচিতি ও অবস্থান রয়েছে। এদিকে ফরহাদ চৌধুরী শামীমকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করতে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীও পর্দার আড়ালে থেকে কাজ কাজ করছেন বলে দলীয় একটি সূত্র জানিয়েছে। যদিও ব্যাপারটি অস্বীকার করেছেন আরিফুল হক চৌধুরী।
এদিকে অপর সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এমদাদ হোসেন চৌধুরী বিএনপির এক নিবেদিতপ্রাণ নেতা হিসেবে পরিচিত। যে কোন দুর্যোগে দলীয় নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়ানো যেন তার নিত্যদিনের কাজ। করোনাকালে ও বন্যার সময় খাদ্য-বস্ত্র-নিত্যপণ্য সহ নানা প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে ছুটেছেন নেতাকর্মীর দ্বারে দ্বারে। এছাড়া যে কোন পর্যায়ের নেতাকর্মী অসুস্থ কিংবা মারা গেলে পরিবার পরিজনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিগত সময়ে তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় প্রতিটি ওয়ার্ডে তার আলাদা একটা পরিচিতি রয়েছে। এছাড়া খন্দকার মুক্তাদিরের আশির্বাদপুষ্ট নেতা হওয়ায় কাউন্সিলে বাড়তি ভোট টানতে সক্ষম হবেন বলে তার সমর্থকদের অভিমত।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ সাফেক মাহবুব, নগর বিএনপির সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ শফি সাহেদ, নগর বিএনপির সাবেক সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা কামাল ফরহাদ। এই পদ থেকে প্রার্থিতা ঘোষণার পর সরে দাঁড়িয়েছেন ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার রশীদ চৌধুরী।
৪ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থীদের মাঝে একমাত্র রেজাউল করিম নাচন সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলয়ের। এছাড়া বাকী ৩ প্রার্থীই খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলয়ের হিসেবে পরিচিত। তবে দিনরাত প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ৪ সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী। তারা নিজেদেরকে কোন বলয় হিসেবে নয়, দলের প্রার্থী হিসেবেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বলয়ের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ইমেজ ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১০ মার্চের কাউন্সিলে সভাপতি, সম্পাদক ও অন্যান্য সাংগঠনিক পদে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ৯১৭ ভোটার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ টি এম ফয়েজ জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন। এদিন সভাপতি ও সম্পাদক পদে ২ জন করে এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৪ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নগরীর সাব-রেজিস্ট্রি মাঠে ১০ মার্চ সকাল থেকে কাউন্সিল শুরু হবে।
জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সম্মেলনের তপশিল ঘোষণার আগে ও পরে পোস্টারিং, ফেসবুক পোস্টসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে হাফডজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন সভাপতি পদে নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, সাবেক সভাপতি নাসিম হোসাইন, বর্তমান আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকী ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব। এর মধ্যে মিফতাহ সিদ্দিকী ও নাসিম হোসাইন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত বদরুজ্জামান, জালালি পংকী ও হাবিবুর রহমান সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। শুধু জালালি পংকী বর্তমান আহ্বায়ক থাকায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি সভাপতি হতে না পারায় সরে দাঁড়িয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
আসন্ন কাউন্সিলের সভাপতি প্রার্থী সাবেক নগর সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেন, দেশ জাতি চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। এই কঠিন সময়ে অতীতের সঞ্চিত অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী আন্দোলনমুখী কমিটি গঠন করতে চাই। আমি হঠাৎ করে রাজনীতিতে উঠে আসা লোক নই। ৩২ বছর থেকে দলের তৃনমূল রাজনীতি থেকে উঠে এসেছি। অতীতে ধারাবাহিকভাবে নগর বিএনপির সদস্য থেকে শুরু করে ধাপে ধাপে তাতী বিষয়ক সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক, দুই বারের সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সর্বশেষ কাউন্সিলে নির্বাচিত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি।
সভাপতি প্রার্থী ও মহানগর সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, আহ্বায়ক কমিটি গঠনের পর তৃণমূলের যে নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আসন্ন কাউন্সিল সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। আমরা মাঠের নেতৃত্বকে ওয়ার্ড পর্যায়ে নিয়ে এসেছি। এবার ওয়ার্ড নেতৃত্ব আন্দোলনমূখী মহানগর নেতৃত্ব নির্বাচন করবে।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, আমি এই নগরের সন্তান। এর বাইরে আমার কোন ঠিকানা নেই। আমি ৯০ এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে জাতীয়তাবাদী আদর্শের সকল আন্দোলন সংগ্রামে সম্মূখে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। রাজনৈতিক জীবনের আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতার আলোকে মহানগর বিএনপিকে নেতৃত্ব দিতে চাই।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমি দীর্ঘ ২৬ বছরেরও বেশী সময় ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছি। নিজের সবকিছু উজাড় করে রাজনীতিতে সর্বোচ্চ সময়, শ্রম ও মেধা ব্যয় করেছি। আমার বিশ^াস জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে আমার দীর্ঘদিনের শ্রম, মেধা ও ত্যাগের মূল্যায়ন করে তৃণমূল নেতাকর্মীরা আমাকে বিজয়ী করবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ সাফেক মাহবুব বলেন, আমার বড় পরিচয় আমি জাতীয়তাবাদের সাফেক, জাতীয়তাবাদের মাহবুব। ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী মহানগর বিএনপি গঠনে আমি অঙ্গিকারাবদ্ধ। আমার প্রত্যাশা তৃণমূলের ভোটারগণ আমার বিগত দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও শ্রমের মূল্যায়ন করে আগামীর নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।
আসন্ন কাউন্সিলের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এডভোকেট এটিএম ফয়েজ বলেন, কাউন্সিল সফলের লক্ষ্যে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন। মনোনয়ন জমা প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আমরা ১৯১৭ বৈধ ভোটার তালিকার খসড়া প্রকাশ করেছি। আজ সোমবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবো। ১০ মার্চ রেজিষ্টারী মাঠে ২০/২২ টি বুথ স্থাপন করা হবে। কাউন্সিলে সকল কাউন্সিলার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন। কাউন্সিল সফল করতে ১০০ জন আইনজীবী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন কমিশন সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুত রয়েছে, দলীয় নেতাকর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে একটি সুন্দর ও সার্থক কাউন্সিল উপহার দেয়া সম্ভব।
শেয়ার করুন