তানজিল হোসেন, গোয়াইনঘাটঃ
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাকামী মানুষদের নির্মমভাবে হত্যাকরা স্থানটি গণকবর হিসেবে চিহ্নিত করতে এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, সুশিল সমাজের জোরালো দাবি ও গণমাধ্যম কর্মীদের অনেক প্রতিবেদনের পরও সংশ্লিষ্টরা কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। অবশেষে স্বাধীনতার ৫১বছরে স্বীকৃতি পেলো গোয়াইনঘাটের পুর্ণানগর গণকবর। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপজেলা প্রশাসন, গোয়াইনঘাট প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে পুর্ণানগর গণকবরটি চিহ্নিত করা হয়।
পূর্ণানগর গণকবরটি গোয়াইন নদীর পূর্ব পাড়ে পুর্ণানগর প্রামের আব্দুল মতলিবের বাড়ির পশ্চিমে অবস্থিত। চিহ্নিত জায়গাটিতে স্বাধীনতাকামী মানুষের উপর হানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলে। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও স্থানীয় জনসাধারণের গণকবর চিহ্নিত করার দাবি ছিলো দীর্ঘ দিনের। এই দাবি নিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে মানববন্ধনও অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান গত ২৬ মার্চেই এই গণকবরে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন। এরপর গত ১লা ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবসের আলোচনা সভায় আবারও গণকবরটির ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন তিনি। অবশেষে তারই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পুর্ণানগর বধ্যভূমি চিহ্নিত করে প্রথমবারের মতো শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। চলছে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজও।
স্বাধীনতার ৫১বছর এই বধ্যভূমি চিহ্নিত হওয়ায় এলাকার প্রায় হাজারো মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার এবং সুশিল সমাজের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এই স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষা ও যথাযথ মর্যাদা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে এমন প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
শেয়ার করুন