‘জীবন ও মৃত্যুর শৃঙ্খলা চাই’! কথাটি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে বেশি শোনা হয়েছিল। শুনতে শুনতে স্লোগান! শিক্ষার্থীরা যখন বিনে সুতার মালার মতো সড়ক নিরাপত্তার আন্দোলন গড়েছিল, সড়কপথে জীবন ও মৃত্যুর শৃঙ্খলা তখন রূপ নিয়েছিল মৌলিক দাবিতে। আদায় হোক আর নাই হোক, মৌলিক কোনো কিছু হারায় না। রয়ে যায় অধিকার হয়ে।
মৌলিক অধিকারের একটি চিকিৎসা। আমাদের এক সহকর্মী সাংবাদিক সালমান ফরিদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সিলেট হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হন। বিশেষায়িত হাসপাতাল, ভরসা এখানেই। কিন্তু ভরসায় চিড় ধরল তার একটি স্ট্যাটাসে। চিকিৎসা পরবর্তী সেবার নামে কী ভয়ংকর কাণ্ড! গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।
সালমানের ফেসবুক স্ট্যাটাস সূত্রে কিছু গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী বলেন, কী মনোভাব-জানার ছিল। মনে হয়, তারা ভাবলেশহীন। এক সহকর্মীর হৃদয়ের অসুখে হৃৎকলমের টান থেকে বলছি, আক্রান্ত মানুষ তাহলে কোথায় নিরাপদ? বিশেষ স্থানও কি তবে বিষময়?
প্রশ্নটি জীবন ও মৃত্যু ঘিরে। মনে পড়ে, জীবনের জয়গানে সোচ্চার এক কলম-যোদ্ধার কথা। রাজনীতিবিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সাংবাদিক নির্মল সেনের লেখা রীতিমতো কথা বলত, স্লোগান হয়ে যেত। সংবাদপত্রে কলাম লিখে তিনি সবমহলে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছিলেন। তাঁর কলাম `স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই` বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল শুধু জীবনের জয়গানে
অভিযোগ নয়, সালমান ফরিদের একটিই চাওয়া, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি। হাসপাতাল থেকে তার ফেরার গল্প স্বস্তির, তবে জীবনকে সংকটে ফেলার ঘটনা বড় অস্বস্তির।
অস্বস্তি জিইয়ে রাখলে চাপ পড়ে হৃদয়ে। হৃদরোগ চিকিৎসায় এই সিলেটে ভরসা করার মতো একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে সালমানকে নিয়ে এক অস্বস্তি এখন তালগোল পাকাচ্ছে।কাজেই এই অস্বস্তির অবসান চাই। যত দ্রুত, তত মঙ্গল।
সিনিয়র সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদীর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেয়া।
শেয়ার করুন