হবিগঞ্জে কলেজছাত্রী ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে নিরাপত্তা কর্মী বরখাস্ত

হবিগঞ্জ

ছাত্রী ‘ধর্ষণের’ অভিযোগে হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের নিরাপত্তা কর্মী রোমান মিয়াকে (৩২) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে কলেজের অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে ইতিহাস বিভাগের প্রধান সৈয়দা রকিবুন্নাহারের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

অভিযুক্ত রোমান মিয়া ‘ধর্ষণের’ অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।

তিনি বলেছেন, একটি কক্ষে এক ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে দেখে ওই ছাত্রীকে মারধর করেছেন। তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ বা কোনো রকমের যৌন হেনস্তা করেননি।

এদিকে কলেজ ক্যাম্পাস ছাড়াও পুরো জেলায় এ ঘটনার সমালোচনা হচ্ছে। অভিযুক্তের শাস্তি চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিচ্ছেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

হবিগঞ্জ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা খা বলেন, গত ১০ জুলাই দুপুরে অনার্স প্রথম বর্ষের দুই ছাত্র-ছাত্রী পঞ্চম তলার একটি কক্ষে একে অন্যের হাত ধরে বসেছিলেন।

এ সময় সিকিউরিটি গার্ড রোমান মিয়া গিয়ে তাদের মারধর করেন। পরে ছেলেটিকে একটি কক্ষে আটকে রেখে মেয়েটিকে অন্য কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

এদিকে, বৃহস্পতিবার এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনা শুরু হলে অধ্যক্ষ দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরী নিরাপত্তা কর্মী রোমানকে তার কক্ষে ডেকে পাঠান। সেখানে যাওয়ার পথে একদল ছাত্র তাকে ব্যাপকভাবে মারধর করে।

পরে অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে গার্ডকে বরখাস্ত ও ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কলেজের এক শিক্ষক বলেন, অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। তবে যেহেতু গার্ড শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে তাই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সত্য উদ্ঘটানে কাজ করছে তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে কথা বলতে দেওয়ান জামাল উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে রাত ১০টা পর্যন্ত তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এনিয়ে তদন্ত চলছে।

এদিকে, বিকেলে এ ঘটনায় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা দেখা দিলে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে যান। তবে ছাত্র ইউনিয়নের একদল কর্মী তাদের কলেজ গেটের ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *