হবিগঞ্জে কারাগারের ভেতরে যুবদল নেতার সেলফি!

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জ জেলা কারাগার অনিয়ম-দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কারাগারের অভ্যন্তরে সবকিছুই মিলে টাকার বিনিময়ে। আসামিদের সাথে ভিআইপি রুমে দেখা করা, মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করা, ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলা, বাড়ি থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহসহ টাকার বিনিময়ে সকল ব্যবস্থাই রয়েছে সেখানে।

এদিকে, সোমবার হবিগঞ্জ কারাগারে আসামিদের দেখতে গিয়ে অভ্যন্তরে এক দর্শনার্থীর সেলফি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

এমনকি তিনি কারা ফটকের ভেতরে এক কারারক্ষীর সাথেও সেলফি তুলে তা ফেসবুকে আপলোড করেছেন।

নিয়ম অনুযায়ী জেলা কারাগারে নিরাপত্তার স্বার্থে প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের মোবাইল ফোন বাইরে রেখে যেতে হয়। এ কারণে কারাগারের প্রধান ফটকের গার্ড সবাইকে তল্লাশী করে ভেতরে প্রবেশ করতে দেন। ফলে সকল দর্শনার্থীকে পাশের বিভিন্ন দোকানে ১০-১৫ টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রেখে যেতে হয়।

অভিযোগ উঠেছে, কারাগারে দায়িত্বরতদের টাকা দিলেই এই নিয়মের ব্যক্তয় ঘটে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলে মোবাইল নেয়াসহ বিভিন্ন ধরণের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।

অপরদিকে টাকা না দিলে বন্দিদের সাথে সাক্ষাতপ্রার্থী স্বজনদের সাথে কারারক্ষীদের দুর্ব্যবহারতো রয়েছেই।

সোমবার আবুল কালাম মিটু নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয় বেশ কয়েকটি ছবি। যাতে দেখা যায় কারাগারের অভ্যন্তরে কারাবন্দি আসামিদের সাথে একটি সেলফি। যদিও লোহার ঘন ঘন রডের কারণে আসামিদের ছবি স্পষ্ট নয়। তবে তিনি ছবির ক্যাপশনে লিখেন, ‘কারাবন্দি নেতাদের দেখতে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে আজ’।

এছাড়াও কারা ফটকের ভেতরে এক কারারক্ষীর সাথেও সেলফিতে দেখা যায় তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কারাগারে সেলফিতে ভাইরাল হওয়া ফেসবুক আইডিটি নবীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম মিঠু’র।

ছবিটি সেফবুকে আপলোড দেয়ার পর নানা সমালোচনা ও কারাগারের ভেতরে অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের জেল সুপার মো মতিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *