পঞ্চগড়ের করতোয়া নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় চতুর্থদিন শেষে ৭১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো ৬জন নিখোঁজ রয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনায় নিহত বেশিরভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। যারা আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিতে মহালয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিলেন।
কিন্তু মাঝ নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় উৎসবের যাত্রা রূপ নেয় বিষাদে। টানা চারদিন ধরে চলে উদ্ধার অভিযান। এসবের মধ্যে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে হঠাৎ করেই শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাতে হাজির হন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান। এ সময় নিহতদের পরিবারপ্রতি ৩০ হাজার টাকা করে তুলে দেন।
এই ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পরই সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় জামায়াত বন্দনা। বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী অ্যাক্টিভিস্টরা টানা পোস্ট দিতে থাকেন জামায়াতের প্রশংসা করে। সেই সব পোস্ট রিয়্যাক্ট, শেয়ার ও কমেন্টে ভরে গেছে। তবে কেউ কেউ বলছেন, মানবতার ছদ্মবেশে ভোটের রাজনীতি করতেই জামায়াত এই পথ বেছে নিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম ঘুরে দেখা যায়, সাংবাদিক রিপন দে, নিলয় চক্রবর্তী, বিমল, নেহার হালদার, বাদল কান্তি দেবসহ আরও অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জামায়াতের আর্থিক সহায়তা নিয়ে বড় বড় পোস্ট করেছেন। সেখানে তারা জামায়াতের প্রশংসার পাশাপাশি অন্যান্য দল কেন সহায়তা করছে না এমন প্রশ্ন রেখেছেন।
শুধু তাই নয়, হিন্দু সংগঠনগুলোও কেন এখনো মানবতার সেবায় এগিয়ে আসেনি সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। নিহতদের পরিবারে যেন পুজার আনন্দ মাটি না হয়ে যায় সে ব্যাপারে কাজ করার জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়েছেন অনেকে।
জানা যায়, বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নিহত ৭১ জনের পরিবারে গিয়ে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা করেছেন জামায়াতের আমির নিজের। ৩০ হাজার করে মোট ২১ লাখ টাকারও বেশি আর্থিক সহায়তা তুলে দিয়েছেন নিহতদের পরিবারগুলোকে।