১ বছরে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ৫০০০

জাতীয়

দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি রয়েছে—এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এক বছর আগেও ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল এক লাখ আট হাজার ৪৫৭টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি ব্যাংক হিসাব বেড়েছে পাঁচ হাজার ৮৭টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও এক শ্রেণির মানুষের আয় বেড়েছে। এরা হচ্ছে বিত্তশালী বা বড় প্রতিষ্ঠান।

তবে কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে—এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমা ছিল সাত লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ৪৩.৩৬ শতাংশ কোটি টাকার হিসাবধারীদের টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এই আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর বেড়ে তা দাঁড়ায় এক লাখ ১৯৭৬টিতে।

এক বছরে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে পাঁচ হাজার

দেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি রয়েছে—এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হিসাবের সংখ্যা এক লাখ ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এক বছর আগেও ২০২২ সালের জুনে কোটি টাকার হিসাব ছিল এক লাখ আট হাজার ৪৫৭টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি ব্যাংক হিসাব বেড়েছে পাঁচ হাজার ৮৭টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, উচ্চমূল্যস্ফীতির চাপে অনেকে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও এক শ্রেণির মানুষের

আয় বেড়েছে। এরা হচ্ছে বিত্তশালী বা বড় প্রতিষ্ঠান।

তবে কোটি টাকার হিসাব মানেই কোটিপতি ব্যক্তির হিসাব নয়। কারণ ব্যাংকে এক কোটি টাকার বেশি অর্থ রাখার তালিকায় ব্যক্তি ছাড়া অনেক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ১৯২টি। যেখানে জমা ছিল ১৬ লাখ ৮৭ হাজার ২৪ কোটি টাকা।

এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে—এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা রয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। কোটি টাকার ওপরে এসব হিসাবে জমা ছিল সাত লাখ ৩১ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেশের ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ৪৩.৩৬ শতাংশ কোটি টাকার হিসাবধারীদের টাকা।

২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এই আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০টি। ২০২১ সালের ডিসেম্বর বেড়ে তা দাঁড়ায় এক লাখ ১৯৭৬টিতে।

২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকার আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৭২টি। যেখানে জমা ছিল এক লাখ ৮৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। পাঁচ কোটি থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২৪৫টি হিসাবে জমার পরিমাণ ৮৬ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা।

তিন মাস আগে চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২৫৬টি। জমা ছিল ১৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের সংখ্যা ছিল এক লাখ ১০ হাজার ১৯২টি। এ হিসাবে তিন মাসের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে তিন হাজার ৩৬২টি আর এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে পাঁচ হাজার ৯৭টি।

এ ছাড়া ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি টাকার হিসাবের সংখ্যা রয়েছে চার হাজার ৮১টি, ১৫ কোটি থেকে ২০ কোটির মধ্যে এক হাজার ৮৬৫টি, ২০ কোটি থেকে ২৫ কোটির মধ্যে এক হাজার ২৭৬টি, ২৫ কোটি থেকে ৩০ কোটির মধ্যে রয়েছে ৯০৯টি আমানতকারীর হিসাব।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল পাঁচজন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮টি। এরপর ১৯৯০ সালে ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে দুই হাজার ৫৯৪ জন, ২০০১ সালে পাঁচ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে আট হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *