সৌদি আরবে গৃহকর্মী হিসাবে কাজে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া হবিগঞ্জের নারী শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে দেশে ফিরে এসেছেন।ভোর চার টায় গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন। এরপর নিজ এলাকায় ফিরে আসলে বেলা এগারোটায় মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় তাকে।
দুপুরে সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে তাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ওই নারীর বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ে কথা বলতে পারছে না।
তিনি জানান, সৌদি আরবের যে বাসায় তার মেয়ে কাজ করতেন সেখানে আটজন পুরুষ ও একজন নারী ছিলেন। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা তাকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। এতে সে বাধা দেয়ায় তাকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে। এ অবস্থায় মেয়ে বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান। পরে সরকারের সহায়তায় আজ সে দেশে ফিরে এসেছে। দেশে ফিরার পরে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে দালাল ও তার লোকজন মেয়েকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিমানবন্দর পুলিশ ও উপস্থিত লোকজনের বাধা দিলে দালালরা পালিয়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুন জানিয়েছেন, ওই নারীর অবস্থা স্ট্যাবল। তবে তিনি মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে শনিবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই নারীকে দেখতে আসেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আলাউদ্দিন। এসময় তিনি ওই নারীর বাবা-মা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এএইচএম ইশতিয়াক মামুনের সাথে কথা বলেন।
উল্লেখ্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবে গিয়ে গৃহকর্মীর কাজে যোগ দিয়েই নির্যাতনের শিকার হন। একপর্যায়ে ইমো মেসেঞ্জারে বাবাকে সবকিছু জানান। মেয়েকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ে আবেদন করেন।
শেয়ার করুন