সিলেট পুলিশ কমিশনার বরাবরে মাদক ব্যবসায়ী জনি’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ

সিলেট
বিশ্বনাথের চিহ্নিত ধান্দবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, নারীদের সাথে ব্ল্যাকমেইলার ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সোর্স পরিচয়দানকারী মাহবুবুল আলম জনি’র বিরুদ্ধে সিলেট পুলিশ কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ^নাথপুর উপজেলার একাভিন গহরপুর এলাকাবাসী। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বিশ^নাথপুর উপজেলার একাভীন গহরপুর এর বাসিন্দা কতিত আব্দুল খালিকের পুত্র মাহবুবুর আলম জনি (৩৬) একজন দুশ্চরিত্র, মাদক ব্যবসায়ী, আইনশৃংখলা বাহিনীর সোর্চ পরিচয় দিয়ে নানানভাবে হয়রানী করে আসছে। তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে, বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির ছত্রছায়ায় বিশ্বনাথ থানাধীন জামাল মিয়ার মাধ্যমে জানাইয়া রোড, আরামবাগ, রাজনগর এলাকা এবং আলকাছ আলী, সাং- রাজনগরের মাধ্যমে এলাকায় গাঁজা, ইয়াবা, মদ, ফেন্সিডিল ইত্যাদির জমজমাট ব্যবসা করিয়া এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংশের দিকে ধাবিত করছে। বিশ্বনাথের আল হেরা শপিং সেন্টারের সামনে সিএনজি স্ট্যান্ড অবৈধভাবে দখল করিয়া তথায় বখাটের আসর বসাইয়া অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলন করিয়া বাজারের সৌন্দর্য্য এবং পরিবেশ বিনষ্ট করছে। সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাহাদের কর্মকান্ডের কোন প্রতিবাদ করলে খুন খারাবিসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে আসছে। মাহবুব আলম জনির সহযোগী হেলাল মিয়ার মাধ্যমে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে মদ, গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা, ফেন্সিডিলসহ অবৈধ মাদকের ডিলার নিয়োগ করিয়া অবাধে ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে।এ ছাড়াও
জনি বিশ্বনাথ বাজারের গরুহাটের পাশে বিভিন্ন স্থান থেকে যুবতিদেরকে নানান প্রলোভন দেখাইয়া নিয়া আসিয়া পতিতালয় স্থাপন করিয়া লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছে এবং স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নষ্ট করছে। পতিতার পাশাপাশি মদ ও জোয়ার আসর বসাইয়া হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। আর এতে সহযোগিতা করছেন পুলিশের কিছু অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মাহবুবুর আলম জনি গেল কয়েক বৎসর পূর্বে শাহপরান (রহঃ) থানাধীন টিলাগড়ের এক যুবতী মেয়ের সাথে প্রেমের সর্ম্পক সৃষ্টি করিয়া পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত করার অপরাধে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছিল এলাকার শালিস ব্যক্তিত্বরা। বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা এলাকাধীন অন্য আরও একটি মেয়েকে বিবাহের প্রলোভন দেখায়াই পালাক্রমে ধর্ষণ করার অপরাধে রামপাশা বাজার কমিটির সভাপতি আরশ আলী মেম্বারের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছিল। মাহবুবুর আলম জনি’র বর্তমান স্ত্রীর সাথে অবৈধ সর্ম্পক সৃষ্টি করে ধর্ষন করায় গর্ভবতী হওয়ায় বিবাহ করতে বাধ্য হয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে কৌশলে সর্ম্পক স্থাপন করিয়া তাদের সাথে ছবি উঠাইয়া ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করিয়া নিজেকে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে জাহির করে আসছে এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ছবি উঠাইয়া এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া আসিতেছে। বর্তমানে মাহবুব আলম জনির বিরুদ্ধে এক নারীকে বিবাহের প্রলোভন দেখাইয়া ধর্ষনের অভিযোগে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে নানান সময় বিভিন্ন যুবতি মেয়েদের সাথে প্রেমের অভিনয়ে ছবি তোলে প্রতারনা করাই তার মুল পেশায় পরিনত হয়েছে। জনির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের কপি অতিরিক্ত পুলিশ পরিদর্শক সিকিউরিটি সেল ঢাকা, পুলিশ হেড কোয়াটার ঢাকাসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগকারীদের পক্ষে রুহেল খান ও আশরাফ মিয়া জানান, মাহবুবুল আলম জনি একজন অত্যন্ত খারাপ চরিত্রের লোক। এমন কোন খারাপ কাজ নেই তারা দ্বারা হয় না। সে প্রতারনা, নারীদের সাথে প্রেমের অভিনয় করে ধর্ষণ, ব্ল্যাক মেইলিং, পতিতাবৃত্তিতে নিয়োজিত এবং চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসাসহ নানান অপকর্মে জড়িত থাকিয়া এলাকাবাসীকে অতিষ্ট করিয়া তুলছেন। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সেলফি তুলে এলাকার মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে এবং মাদক, সন্ত্রাস, নারী ব্যবসাম ব্লাক মেইলিংসহ নানান অপরাধ করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। আমরা ন্যায় বিচারের আশায় আইনশৃংখলা বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে প্রতিকার চেয়ে আবেদন জানিয়েছি।বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *