সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু বরণ করেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রায় আরও ১০জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহাড়পারা ইউনিয়নের সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামের মৃত এলাইছ মিয়ার ছেলে ওসমান আলী (৩৪) ও আলমীর হোসেনের (৫০) সাথে একই গ্রামের নিলু মিয়ার ছেলে ফাহিম (১৪), আনখাই মিয়ার ছেলে মারজান মিয়া (১৬) ও নাহিদ মিয়ার সাথে পূর্ব শক্রতার জের ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে পরে হোসবান আলী ও আলমলীগের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এক সময় হোসবান আলী তার বসবাসের ঘর থেকে অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করে।
এ সময় সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল (৪৫), সৈয়দ মাফির আলীর ছেলে সৈয়দ সৈয়দ সেলু মিয়া (৬০), মৃত ওয়াসিদ মিয়ার ছেলে সৈয়দ আনহার মিয়া (৭০), সৈয়দ আমিন মিয়া (৬০), সৈয়দ আব্দুল খালিকের ছেলে সৈয়দ গফুর আহমদ শিপু (২৯), সৈয়দ আনহার মিয়ার ছেলে সৈয়দ হোসাইন আহমদ (৩০)। অপর পক্ষের মৃত সৈয়দ এখলাছ মিয়ার স্ত্রী সৈয়দা পারুল বেগম(৬০) আহত হয়।
সংঘর্ষে ঘটনায় সৈয়দ জামাল মিয়াকে (৪৫) সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মৃত্যু হয়।
আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে জগন্নাথপুর সার্কেলের এএসপি শুভাশীষ ধরের নেতৃত্বে ও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান সহ এসআই সাব্বির, এসআই ছাত্তার সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর সার্কেলের এএসপি শুভাশীষ ধর জানান, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমাদের থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে থানা পুলিশ ঘটনা স্থলে অবস্থান করছে। সেখানের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয় নাই।
শেয়ার করুন