বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের আজীবন ইসলামী আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে ন্যায়- ইনসাফভিত্তিক ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। কারণ তাদের অবসর গ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এটিই হচ্ছে মহান আল্লাহর হুকুম ও রাসুলের সুন্নাহ। যার মধ্যেই নিহিত রয়েছে মানবতার ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তি। সাবেক সদস্য ও সাথী ভাইদের দ্বীনের ওপর অবিচল থেকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেদের যোগ্যতর হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি শনিবার সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে সাবেক সাথী-সদস্য সম্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বলেই দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধবংস করে দিয়েছে। তারা জনগণকে সুশাসন উপহার দিতে পারেনি। তাদের দুর্নীতি, লুটপাট, দলীয়করণের কারণে রাষ্ট্রের সকল পর্যায়েই স্থবিরতা নেমে এসেছে। নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের একদফা দাবীতে দেশপ্রেমিক জনতা আজ ঐক্যবদ্ধ। এমতাবস্থায় জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্যই সরকার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। জামায়াতের শান্তিপূর্ণ জনসভায় অনুমতি প্রদান থেকে সরকার বিরত রয়েছে। অবিলম্বে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে এবং নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে সরকারকে বিদায় নিতে হবে। ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধ করতে হবে, নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলকে সংবিধান স্বীকৃত সভা সমাবেশের নিশ্চয়তা দিতে হবে। অন্যথায় দেশপ্রেমিক জনতার চলমান আন্দোলনে গণবিষ্ফোরণে রূপ নিবে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরী আমীর মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে, সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সাথী-সদস্য সম্মিলনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা সোহেল আহমদ, সহকারী সেক্রেটারী ড. নূরুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ছাত্রশিবির নেতা সুলতান আহমদ, মাওলানা আব্দুস সোবহান আজাদ ও সীরাতুল আম্বিয়া প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইসলামী আন্দোলনের ওপর জুলুম-নির্যাতন ইতিহাসের ধারাবাহিকতা। যুগে যারাই মানুষকে দ্বীনে হকের দাওয়াত দিয়েছেন তাদের ওপরই নির্মম ও নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতন নেমে এসেছে। অবিশ্বাসী অপশক্তি নবী-রাসুলদেরকে হত্যা করতেও কুন্ঠিত হয়নি। শত কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা ইকামতের দ্বীনের পথ থেকে থেকে বিচ্যুত হননি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসলামী আন্দোনের ওপর নির্মম নিধনযজ্ঞ ইতিহাসের সেই ধারাবাহিকতারই অংশ মাত্র। তাই জান ও মালের সর্বোচ্চ কোরবানীর মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ময়দানে টিকে থাকতে হবে। বিজয় আমাদের অবশ্যাম্ভাবী-ইনশাআল্লাহ। বিজ্ঞপ্তি
শেয়ার করুন